৬ মাসের মধ্যে কৃষকের তালিকা প্রণয়ন ও কৃষি বীমা চালুর দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২১ জুন, ২০২২, ১ year আগে

৬ মাসের মধ্যে কৃষকের তালিকা প্রণয়ন ও কৃষি বীমা চালুর দাবি

আজ ২১ জুন ২০২২ খ্রি. মঙ্গলবার, সকাল: ১০.৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অর্থনীতি ভিত্তিক গবেষণা মূলক সামাজিক সংগঠন ‘প্রত্যাশার বাংলাদেশ’র উদ্যোগে “বাংলাদেশে শ্রেনী ভিত্তিক কৃষকের তালিকা প্রণয়ন এবং স্বাস্থ্য বীমা চালুর দাবিতে মানববন্ধন” অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে বিএলডিপি’র চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষকের জীবন মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের খুব বেশি মনোযোগ নেই। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে সীমাহীন দুনীর্তির কারণে ভূমিহীন কৃষকরা সেভাবে এ কর্মসূচির সুফল পাননি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যদি কৃষকদের জন্য বীমা সুবিধা থাকতো তাহলে সিলেটসহ সারাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা এ বীমার সুবিধা নিতে পারতেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম খুবই অপ্রতুল। আগাম বন্যার পূর্বাভাস যথাযথভাবে প্রচার না করায় দেশের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার দায়ভার সরকার এড়াতে পারে না।

বাসদ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, কৃষির সাথে যুক্ত শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না। বিশেষ করে নারী কৃষাণীদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে গবেষণায় জোর দেওয়া দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ সরকারের নিকট নিম্নোক্ত দাবি সমূহ পেশ করেন প্রত্যাশার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন। দাবি সমূহ হলো—

১) ছয় মাসের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।

২) সরকারের পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩) কৃষি বীমাসহ সর্বস্তরের কৃষকদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা সুবিধার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষকদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলোকে নিয়ে স্টেকহোল্ডার বডি তৈরি করতে হবে।

৫) নারী কৃষকদের আলাদা তালিকা প্রণয়ন এবং নারী শ্রমিকের শ্রমের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

৬) ভূমিহীন কৃষকদের জন্য বিনা জামানতে সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৭) জাতীয় কৃষক কাউন্সিল গঠন, প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদে আলাদাভাবে কৃষকদের জন্য ভূমি সেবা এবং কৃষক নেতা কার্যালয়ের বরাদ্দ দিতে হবে।

৮) প্রত্যেক জেলা শহরে কৃষকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৯) কৃষকদেরকে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

১০) কৃষিপণ্য আমদানি—রপ্তানিতে শুল্ক মূল্য কমানো এবং ভূমি অফিসে সকল প্রকার হয়রানি ও দুর্নীতি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

১১) আগাম কৃষি গবেষণা এবং স্বল্পমূল্যে সার, উন্নত বীজ, কীটনাশক এবং শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে মজুরি কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে।

১২) ওয়ার্ড ভিত্তিক খোলা মাঠে কৃষকদের জন্য “কৃষক বিশ্রামাগার” নির্মাণ করতে হবে।

প্রত্যাশার বাংলাদেশ মহাসচিব ব্যারিস্টার ইমাম হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ’র মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গন আজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার মহাসচিব মোঃ নুরুল ইসলাম, গন সমাজ পার্টির আহ্বায়ক সরদার সামস্ আল মামুন, এনডিএম এর সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, প্রত্যাশার বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা ঢাবি’র অধ্যাপক ইলিয়াস তালুকাদার, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

পত্রিকাএকাত্তর /তরিকুল

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news