খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | ঠাকুরগাঁও

স্টাফ রিপোর্টার | ঠাকুরগাঁও

৯ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের যে সন্ত্রাসী রাজনীতি, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতি। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান দুজনই শাস্তিপ্রাপ্ত দণ্ড প্রাপ্ত আসামী। সে জন্য তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাও জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে এসে এই সব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সুতরাং তাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই। সে জন্য তারা তাদের দলকে নির্বাচন মুখী করতে চায় না। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজয় হবে সেটিও তারা নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তথ্য মন্ত্রী আরও বলেন, গত বার বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে, প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিটি মানুষ ভালো আছে। কিন্তু এই উন্নয়ন অগ্রগতি যাদের পছন্দ হয় না। সেই বিএনপি এবং তাদের দোসরেরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশে ও দেশের বাইরে এবং দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

মন্ত্রী বরেন গত ১৩ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, সে জন্য দেশের মানুষ আওয়ামীলীগের সাথে আছে। সেই কারণেই বিএনপিসহ তাদের দোসরেরা সংকিত। তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এবং আগামী নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় তারা এখন নানা ধরনের বিভ্রান্ত ছড়াছে বলে জানান তিনি।

আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু খাদ্য উৎপাদনে পৃথিবীতে ৩য়, ধান উৎপাদনে ৩য়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ২য়, আলু উৎপাদনে ৭ম। এটা সম্ভব হয়েছে কোন যাদুর কারণে নয়, শেখ হাসিনার যাদুর রাজনীতির নেতৃত্বে।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে। সেই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেক সময় পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের বেশীর ভাগ বড় বড় ব্যবসায়ী বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত, মির্জা ফখরুল ইসলামের সাথে অনেকেই যুক্ত। মির্জা ফখরুল ইসলামের যে চক্রান্ত তাদের হাত মিলিয়ে পণ্য মজুত করে মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে কথা গুলো বলেছেন, শুধু মির্জা ফখরুল নয় রেজভি সাহেবও অনেক কথা বলেছেন। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন আমি কিন্তু গ্রামের এমপি। আমি বিশ বাইশ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে আমার নির্বাচনী এলাকায় যাই। রেজভি সাহেব তো নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ে বসে থাকেন। ওখানেই খায়, ওখানেই ঘুমায়। সে কারণেই তিনি দেশের অবস্থা জানেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রয় সদস্য সাবেক এমপি এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবন্দ।

পত্রিকা একাত্তর/ আব্দুল্লাহ আল সুমন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news