নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে এক যুবক নিজেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আবুল হায়াত ওরফে রনি (২৩) উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মাদলা গ্রামের আবুল খায়ের পিয়নের বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে,গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মাদলা গ্রাম থেকে একটি দেশীয় পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এসপি আরও জানান, গত শুক্রবার ১৬তারিখ ডিবি পুলিশের নিকট রনি তথ্য দেয় যে, কবিরহাট থানা এলাকায় মাদলা গ্রামে আব্দুল রহিমের বসতঘরে অস্ত্র ও গুলি রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসআই (নি.) মো: সাঈদ মিয়ার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতায় তথ্যদাতার তথ্যের উপর সন্দেহ জন্মায়।
তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা মোতাবেক তথ্যদাতা আবুল হায়াত রনিকে হেফাজতে নিয়ে অভিযান শুরু করে এবং তথ্যদাতার দেখানো মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান ও ০২ (দুই) রাউন্ড কার্তুজ দেখতে পায় এবং জব্দ করে।
ঘটনাস্থলেই উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, তথ্যদাতা রনি (২৩) ও বাড়ীর মালিক আব্দুল রহিমের সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্তে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। উক্ত বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান।
তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মূখে ধৃত আসামীকে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, পূর্ববিরোধের কারণে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে গতকাল উক্ত রহিমকে ফাসানোর উদ্দেশ্যে উক্ত অস্ত্রগুলি সে রহিম বা তার পরিবারের অজ্ঞাতসারে উক্ত স্থানে রেখে যায়।
পত্রিকাএকাত্তর /আবু সাঈদ