চাদাঁবাজি মামলায় কিশোর গ্যাং তোহা সহ চারজন জেল হাজতে


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : ১২/১০/২০২২, ৯:৩১ অপরাহ্ণ / ৪৭৯
চাদাঁবাজি মামলায় কিশোর গ্যাং তোহা সহ চারজন জেল হাজতে

গতকাল আমতলীতে চাঁদাবাজি মামলায় বরগুনা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন না মন্জুর করে কতিথ কিশোর গ্যাং লিডার ত্বোহা, রাহাত, রবিউল,কালুসহ চারজন বিবাদীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বরগুনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক।

উল্লেখ্য গত ১৩/০৩/২০২২ইং অনুমান সকাল ১২.০০ঘটিকায় আমতলী সরকারী কলেজ গেইট এবং বৈঠাকাটা এলাকা ঘটনাটি ঘটে। মামলা সূএে জানা যায়, নবাব তালুকদার কর্তৃক মামলা নং ২৩/২২ বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বরগুনা। মামলার বাদী মোঃ মাজহারুল ইসলাম (নবাব তালুকদার),পিতা- মৃতঃ নুর ইসলাম তালুকদার, গ্ৰাম: দক্ষিণ রাওঘা। থানা: আমতলী। জেলা: বরগুনা।

বিবাদী:

১। মোঃ ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা(২২), পিতা: মোঃ শামীম বিহারী।

২। মোঃ রবিউল (২৩) পিতা মোঃ মিজান (কালা ভাই)।
উভয় সাং-৪নং ওয়ার্ড আমতলী পৌরসভা।

৩। মোঃ রাহাত মৃধা (২১) পিতা ইদ্রিস মৃধা, ১নং ওয়ার্ড, আমতলী পৌরসভা। ৪। মোঃ কালু (২৩) পিতা মোঃ বাবুল, সাং-বৈঠাকাটা,চাওড়া।

সর্ব থানা-আমতলী, জেলা বরগুনা। আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী লোক ছিল। আমতলী সরকারি কলেজ সামনে থেকে আনুমানিক ১২:০০ ঘটিকার দিকে । অটোরিকশা থেকে ত্বোহা এবং রবিউল এসে আমাকে জোরপূর্বক ভাবে ধরে নিয়ে যায় মোটরসাইকেলে করে। মোটরসাইকেল ড্রাইভ করেছিল রবিউল আমি তার পিছনে বাসা আর আমার পিছনে বসা ছিলো ত্বোহা। যাওয়ার পথে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড থেকে তাদের সঙ্গে মিলিত হয় রাহাত ।

১নং ওয়ার্ড থেকে পায়রা নদীর পাড়ের ব্লোকের রাস্তা দিয়ে আমতলী পৌরসভার পার্শ্ববর্তী এলাকা বৈঠাকাটায় বাইকে যাওয়ার সময় ত্বোহা এবং রাহাত আমাকে অনবরত মাথা এবং গালে চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে এবং হত্যার হুমকী দেয় । তারা আমাকে নিয়ে তাদের গন্তব্যতে বৈঠাকাটা এলাকায় পৌঁছায়। এরপর তারা বৈঠাকাটা পায়রা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে আমাকে নিয়ে যায় সেখানে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাটি এবং ছুরি, রড নিয়ে হাজির হয় কালু নামের এক ছেলে ।

তারা বর্তমান পৌরসভার মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার ছত্রছায়ায় তাদের কিশোর গ্যাং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে বেড়ে ওঠা কর্মী হিসেবে নিজেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছে। আমাকে মারধরসহ দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে খুনের হুমকী প্রদর্শন করে এবং রাজনৈতিক জের ধরে আমতলী উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আমতলী পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, জি,এম মুসাকে ফোন দিয়ে গালাগালি করতে বলে এবং তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন কটুক্তিমূলক মন্তব্য পোস্ট করতে ফেজবুকে লাইভে গিয়ে তাকে গালাগালি করতে বলে।

এগুলো না করায় তারা আমাকে অনবরত মারতে থাকে একপর্যায়ে আমাকে মারতে মারতে আমার বাম পাশের কান এবং নাক ফেটে যায় ঠোঁটের উপরের অংশ কেটে যায় আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ি তারপরও তারা আমাকে এলোপাথাড়ি কিল,ঘুষি,এবং লাথি মারতে থাকে । আমার কাছে থেকে আমার ফোন নিয়ে যায় সেটা নিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে । কালু নেশায় আসক্ত ছিল সে আমাকে বুকের উপর লাথি মারে এবং অনবরত আমার মুখে এবং কানে থাপ্পর দিতে থাকে পার্শবর্তী এলাকার লোকজন চলে আসলে তাদেরকে উল্টোপাল্টা বলে পাঠিয়ে দেয়।

ত্বোহা রবিউল রাহাত কালু এভাবে আমাকে অনেক মারধোর করে আমি রক্তাক্ত হয়ে যাওয়ার পরেও তারা থামেনি আমাকে মারতেই থাকে । এবং আমাকে বলে থানায় মামলা দিলেও আমাদের কিছু হবে না। আমতলীতে তোর কে কে আছে নিয়ে আয় তোকে কেউ বাঁচাবে না তোকে যেনো দ্বিতীয়বার আমতলী শহরে না দেখি । দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সেই অস্ত্র দিয়ে অস্ত্র উল্টা করে আমার পিঠে এবং ঘাড়ে হাতে আঘাত করে এবং রবিউল পাইপ দিয়ে আমার হাত স্ব-জোরে আঘাত করে রাহাত মাথার পিছন দিকে অনেকবার ঘুষি দেয় ।

ত্বোহা গায়ের শক্তি করে করে থাপ্পড় দিয়ে আমার বাম পাশে কান থেকে রক্ত বের করে ফেলে এবং রবিউল আমার নাকে ঘুষি দেয় । তাদের কাছে পানি খাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা আমাকে পানি খাওয়ায়নি । পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনলে তিনি বলেন,আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হেও প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যা সম্পূর্ন ভিওিহীন।

পত্রিকা একাত্তর / নিজস্ব প্রতিবেদক