স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মানবাধিকার ও শান্তি সম্প্রীতির ভাবধারায় উদ্বুদ্ধকরণ উপলক্ষ্যে নীলফামারীর ডোমারে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা–২০২২ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩শে ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩টায় ডোমার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নেটওয়ার্ক শিক্ষক পরিষদের ডোমার উপজেলা শাখার আয়োজনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কৃতি নৃত্যশিল্পীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন।
প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলী, মফিদুল হক, ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন রহমানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডোমার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু, ডোমার উপজেলা কমান্ড মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরননবী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরুন আক্তার পলিন, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল আলম, ডোমার থানার এসআই মো. শাহ আলম, ডোমার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সাইয়েদ মো. ইমরান, ডোমার উপজেলা কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা শাখা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নেটওয়ার্ক শিক্ষক পরিষদের প্রতিনিধি হারুন-অর-রশিদ, সমন্বয়ক বিনয় রায়, মেহেদী হাসান মুক্তি, পৌর কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক আরমিন আক্তার জাহান, উপজেলা কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশফাকুর রহমান সিদ্দিক সাধন প্রমুখ।
নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, শিশু-কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মানবাধিকার ও শান্তি সম্প্রীতির ভাবধারায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে কাজ করছে জেলা পরিষদ। সম্প্রতি ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, মুক্তিযুদ্ধকে জানো’ নামের একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি দুমাস পড়ে একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ পূর্বক ১ম স্থান অধিকার করলে ৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার প্রদান করা হবে। আজকের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মাঝে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে ডোমারের তিনজন কৃতি নৃত্যশিল্পীকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নেটওয়ার্ক শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। তারা হলেন—বিটিভির নিয়মিত নৃত্যশিল্পী মো. আনিস রহমান, মো. ফেরদৌস ও ক্ষুদে নৃত্যশিল্পী জুঁই রাণী। এছাড়া চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থীদের এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ