নৈতিকতা এবং ঐক্যবদ্ধতা হোক সকলের অঙ্গীকার, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের চারিধার – এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের মানুষের কল্যাণে এবং বিদেশের বুকে বাংলাদেশের নামকে উজ্জ্বল করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন একজন নারী উদ্যোক্তা এবং কথাসাহিত্যিক যিনি চট্টগ্রামোর মেয়ে ফেরদৌসী আলী রুবী।
পিতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর ডাক্তার সিকান্দার হোসেন এবং মাতা মনোয়ারা বেগম পেশায় ছিলেন একজন গৃহিণী। শিক্ষাজীবনে ওমরগণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।মুক্তিযুদ্ধে রুবীর বড়ভাই – শামসুল আলম ১ সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।চট্রগ্রাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল মোহাম্মদের আদরের ছোট বোন ফেরদৌসী আলী রুবী।
কবি ও কথাসাহিত্যিক ফেরদৌসী আলী রুবী একজন নারী উদ্যোগতা রাজনীতিবিদ এবং সফল ব্যবসায়ী।তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের শিক্ষা এবং সাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে গড়ে তুলেছেন বাংলা কেয়ার ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা অসহায় মানুষদের দোরগোড়াঁয় গিয়ে ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষা এবং সাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সদা সর্বদা।ফেরদৌসী আলী রুবী জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে অসম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে জাত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকল অসহায় ক্ষুধার্ত এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে নিজস্ব অর্থায়নে সবসময় তাদের সেবা দিয়ে আসছেন।ফেরদৌসী রুবী মাঝে মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের অবহেলিত অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। রিকশায় সিটবেল্ট বাঁধা নিয়ে তার একটা টেকসই পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন, এছাড়াও তিনি হ্যালো ডাক্তার প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরেও ফেরদৌসী আলী রুবী সরব ভূমিকা পালন করেছেন।প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনেও অংশগ্রহণ করেন ফেরদৌসী আলী রুবী।
বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে, এ দেশে প্রতিটি মানুষ সাবলম্বী হবে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে,সবাই সুখে শান্তিতে একসাথে বসবাস করবে আর এভাবে এ দেশ একদিন হয়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ এমনটাই আশাবাদ ব্যাক্ত করেন কথাসাহিত্যিক ফেরদৌসী আলী রুবী।
পত্রিকা একাত্তর / রুবেল মিয়া নাহিদ