নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় লিচু বাগানের চাষী ও ব্যবসায়ীরা এখনও পুরোদমে বাগান থেকে লিচু ভাঙতে শুরু না করলেও বাজারে আসতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। বেশি দামের আশায় অনেকে এই মৌসুমী ফল অপরিপক্ক বাজারে বিক্রির জন্য আনছেন। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে।
স্থানীয়রা বলছেন, বছরের প্রথম মৌসুমী ফল বিত্তবানরা শখের বশে কিনলেও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এই রসালো ফল। দেখা গেছে, উপজেলার ধারাবারিষার আব্দুল মতিন ১শ’টির এক বোঝা লিচুর দাম হাঁকছেন ৩০০-৩৫০ টাকা।চাঁচকৈড় বাজারে বেচতে আনা ওই লিচু কেনার আগ্রহ থাকলেও দাম শুনে ঘুরে যাচ্ছেন অনেকে।
উপজেলার, নাজিরপুর,ধারাবারিষা,বিয়াঘাট,খুবজিপুর সহ বিভিন্ন এলাকার বাগান গুলোতে ঘুরলে দেখা মেলে প্রকৃতির মাঝে বিশাল বিশাল লিচু বাগানে লাল, হলুদ আর সবুজ রংয়ে ছেয়ে গেছে। যেন লিচুর গায়ে লেগেছে রংয়ের ছটা। কদিন পরই পুরোদমে বাজারে উঠবে লিচু। বিভিন্ন জাতের টসটসে লিচু দেখে মন ভরে যাবে ক্রেতা, ব্যাবসায়ী আর চাষীদের।
জানা গেছে, আর মাত্র কয়েকটা দিন লাগবে লিচু পাকতে। তার আগেই কিছুসংখ্যক লোক আধাপাকা লিচু স্থানীয় বাজারে খুচরাদামে বিক্রি শুরু করছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে ২৫০টি লিচু বাগান রয়েছে।
প্রতিটি বাগানে লিচুর ভালো মুকুল আসলেও উপযুক্ত সময়ে অনাবৃষ্টির কারণে অর্ধেকের মতো মুকুল ঝরে পড়ায় এবার ফলন আশানুরূপ ভালো হয়নি।এবার উপজেলায় ৩ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, কৃষি বিভাগের বেঁধে দেঁওয়া ৮ মে গাছ থেকে লিচু সংগ্রহের সময় নির্ধারিত হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর /মোঃ সোহাগ আরেফিন