ফেন্সী ডেন্টাল হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা


উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার প্রকাশের সময় : ৩১/১০/২০২২, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ / ৬৩
ফেন্সী ডেন্টাল হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ‘ফেন্সী ডেন্টাল হোম’ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এতে ডেন্টিস্ট পরিচয়দানকারী মো. ওমর ফারুক একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘ফেন্সী ডেন্টাল হোমের চিকিৎসক ডেন্টিস্ট মো. ওমর ফারুক একজন ভুয়া চিকিৎসক’ মর্মে নীলফামারীর সিভিল সার্জন বরাবর বাঁধন ইসলাম নামে এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার রায়কে সভাপতি ও মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. মো. মনিরুজ্জামান রুকুকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা গত ১০ই অক্টোবর ফেন্সী ডেন্টাল হোম এবং ডেন্টিস্ট মো. ওমর ফারুকের চেম্বারে তদন্তে যান। সেদিন তার একাডেমিক সনদপত্র সহ বিভিন্ন কাগজ পত্রাদি তদন্ত কমিটি জমা নেয়। সবকিছু বিশ্লেষণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা।

তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. ওমর ফারুক তার সাইনবোর্ডে ‘ডেন্টিস্ট’ ও ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা দাবী করেছেন। কিন্তু ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত কোনো সনদ দেখাতে তিনি সক্ষম হননি। তদন্ত কমিটির কাছে তিনি তার লোকাল ফিল্ড ট্রেনিং এবং ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজির সনদ প্রদর্শন করেন। এছাড়া তিনি একাধারে দুটি চেম্বার পরিচালনা করলেও, একটিতে অব্যবহৃত ডেন্টাল সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা যায়। এমনকি তিনি ডেন্টিস্ট না হয়েও দন্ত সম্পর্কিত অস্ত্রোপচার করেন, যা অবৈধ।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখিত আছে যে, ডোমার পৌরসভা কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স ২০১৩ সালেই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও, তিনি হরহামেশাই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ চিকিৎসা ও দন্ত চিকিৎসা পরিষদের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই তিনি নিজেকে ডেন্টিস্ট পরিচয় দিলেও, তার সনদ অনুযায়ী তিনি একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট।

তদন্তের ব্যাপারে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. তপন কুমার রায় জানান, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশনায় ফেন্সী ডেন্টাল হোমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তে আমরা সেখানে গিয়েছি। তদন্ত শেষে সিভিল সার্জন বরাবর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমাদানের পর সেটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে অভিযুক্তের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, সিভিল সার্জনের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। শীঘ্রই অভিযুক্তের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।

পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ