খুলনার বটিয়াঘাটা মেঘা কফি শপ ও রেস্টুরেন্টে আবারও রাতে বাহিনী তান্ডব চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে,গত সোমবার (২৫ অক্টোবর ২২) দিবাগত রাতে। সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের রাতে একদল দুস্কৃতিকারী (রাতে বাহিনী) উক্ত কফি শপে প্রবেশ করে। সেখানে থাকা অতিথিদের সকল বসার বেঞ্চ ভেঙ্গে পাশের কাজিবাছা নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন কফি শপের মালিক ইমরান হোসেন মোল্লা সুমন।
ভুক্তভোগী সুমন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিবেশী একটি গ্যাস কোম্পানি (জে এম আই) গ্রুপ আমার ক্ষতিসাধন করে আসছে। ঘটনার দিন ঐ রাতে কফি হাউজে কেউ ছিলো না। ঝড়ের কারনে সবাই বাড়িতে চলে গিয়েছিল। আর এই সুযোগে জেএমআই গ্রুপ কর্তৃপক্ষর যোগসাজসে মিজানুর রহমান মিজান ওরপে কালা প্যানা মিজানসহ নেতৃত্বে উক্ত তান্ডব নীলা চলে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
জসীম উদ্দিন,ও মিজান সহ অজ্ঞতনামা বেশকিছু লোকজন রাতে ঐ তান্ডব চালিয়ে আমার প্রতিষ্টানের ক্ষতিগ্রস্ত করে। দুস্কৃতিরা ২৪টি বেঞ্চ ভেঙ্গ নদীতে ফেলে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭২ হাজার টাকা। পরে ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন মোল্লা সুমন বাদী হয়ে জেএমআই গ্রুপের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদকে ১নং বিবাদীসহ ৪ জনকে বিবাদী করে গত ২৫ অক্টোবর ২২ তারিখ বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-১০৬৮।
ইমরান হোসেন মোল্লা সুমন আরো বলেন,প্যানা মিজান ও মৃনাল মাহাত সহ কয়েকজন লোকজন তার ঐ কফি শপ রেস্টুরেন্টে গত ১৬ জুন ২০২২ তারিখ রাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে ৩ লক্ষধীক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। পরে বটিয়াঘাটা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী ঐ দিনেও বটিয়াঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জেএমআই গ্রুপের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। কিন্তু ঘটনার দিন আমি ঐখানে ছিলাম না। আমি আমার লোকজদের নিকট শুনেছি। তারা বলেছেন উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত না। ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
স্থানীয়দের অভিযোগ,যদি প্রশাসন ঐদিন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করত,হয়তবা আজ এই ক্ষতি করার সাহস পেতো না তারা। অন্যদিকে জেএমআই গ্রুপের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। যেমন সংখ্যালঘুদের জমি দখল,সরকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বালু উত্তোলনসহ ইত্যাদি।
তাছাড়া প্রতিনিয়ত তারা কোন না কোন অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ডে লীপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। পুলিশের অবসর প্রাপ্ত এএসপি নিখিল চন্দ্র মন্ডল বলেন,জেএমআই গ্রুপ তার ৩ একর সম্পত্তির রোপনকৃত ফসলে জমির ধান ক্ষতিকারক কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে দিয়েছে। পরে তিনি গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ তারিখ বটিয়াঘাটা থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সে অভিযোগটি ও পরে ধামাচাপা হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পত্রিকা একাত্তর / আক্তারুল ইসলাম