ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে জীবননগরের সড়কগুলোর বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৩ জুন, ২০২২, ১ year আগে

ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে জীবননগরের সড়কগুলোর বেহাল দশা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাকা সড়কে ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় পাকা সড়কে মাটি পড়ে একেবারে কাচা রাস্তার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যা, দেখে বোঝার উপার নাই এটি পিচের রাস্তা না কি মাটির রাস্তা। অল্প একটু বৃষ্টি হলেই এসব সড়কে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভৈরব নদী খননের মাটি রাতে ও দিনের বেলায় ট্রাক্টরযোগে বহন করে বিভিন্ন ইটভাটাসহ অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর ওইসব ট্রাক্টর থেকে মাটি সড়কের উপর পড়ে ছোট ছোট স্তুপের সৃষ্টি হচ্ছে। অল্প একটু বৃষ্টি হলেই এসব মাটির স্তুপের কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলরত গাড়ির চাকা পিছলে যেয়ে ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত এসব অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না তেমন কোন কঠোর আইনি ব্যবস্থা। যদিও রবিবার (১২ই জুন) সকাল ১১টার দিকে জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সন্তোষপুর গ্রামে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে এক মাটি ব্যবসায়ী ও তিন ট্রাক্টর মালিককে মোট এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মাটি ব্যবসায়ী সন্তোষপুর গ্রামের জিন্নাত আলীকে ৫০ হাজার টাকা এবং ট্রাক্টর মালিক উথলী গ্রামের শরিফ উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিল্টু এবং আফসার আলী খোকনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র। উপজেলাবাসী মনে করেন এ ধরনের অভিযান যদি নিয়মিত পরিচালনা করা হয় তাহলে মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে যাবে। সেইসাথে কমে যাবে অবৈধ ট্রাক্টরের সড়ক দাপিয়ে বেড়ানো। যদিও ইটভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে মাটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটির যোগান না পেলে ইটভাটা মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়নমূলক কাজ। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ইটভাটায় কাজ করা উপজেলার হাজার হাজার শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ট্রাক্টরের মালিক ও চালকগণ। সুতরাং মাটি ক্রয়-বিক্রয় ও বহনের পেশার সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের উচিত আইন-কানুন যথাযথভাবে মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা। সেই হিসেবে মাটি যদি ট্রাক্টরে বহন করতেই হয় সেক্ষেত্রে আরও অনেক সতর্ক হয়ে মাটি যথাযথভাবে পলিথিন অথবা তাবু দিয়ে ঢেকে নিয়ে বহন করলে সড়কে মাটি পড়া অনেকাংশে কমে যাবে। তারপরেও মাটি ব্যাবসা ও বহনের সাথে জড়িতদের উচিত সড়কে মাটি পড়লে সাথে সাথে তা পরিষ্কার করে ফেলা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। যার কারণে সড়কে এমন খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সড়ক তার স্থায়ীত্ব হারাচ্ছে এবং দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোপরি প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকায় পারে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news