কমিউনিটি ক্লিনিকে অফিস না করেই বেতন নেন সিএইচসিপি


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : ১১/১০/২০২২, ১২:২২ অপরাহ্ণ / ১৯৮
কমিউনিটি ক্লিনিকে অফিস না করেই বেতন নেন সিএইচসিপি

গতকাল ১০ অক্টোবর বেলা ১২টা। বরগুনার আমতলী উপজেলা দক্ষিণ আমতলী মানিকঝুড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকে চলছে সংস্কারের কাজ। দরজার সামনে তখনও অপেক্ষায় বেশ কয়েকজন নারী। চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায়। তারা সবাই ত্যক্ত, বিরক্ত।

তখন পর্যন্ত সেখানে ক্লিনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডারের কক্ষে তালা ঝুলছিল। নেই কোন সহকারীও, একজন ফোন দিলে প্রায় ৩০মি. পর মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হন সিএইচসিপি রাশেদুল ইসলাম রাসেল। মাসে মাত্র ৩/৪ দিন অফিস করার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি। ইচ্ছে হলে অফিসে আসেন আবার ইচ্ছা না হলে অফিসে আসে না মি.রাসেল। ক্লিনিকের পাশেই বাস করেন ছত্তার চৌকিদার তিনি বলেন, এই ক্লিনিকে কাউরে পাওন যায় না, একটু স্যালাইন আনতে গেলেও কয় নাই।

সেবা নিতে আসা লতিফ গাজী বলেন, মাসের মধ্যে ৩/৪ দিন ক্লিনিকে আসে রাসেল, তাও মোটরসাইকেলে আইসা ৫ মিনিট থাইক্কা আবার চইল্লা যায়। কাউরেই এহানে পাওন যায় না। কখনোই এখানে সেবা পাওয়া যায় না বলে জানান লতিফ বিশ্বাস।
এছাড়াও রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি গত ২৭/০৮/২২ রোজ শনিবার কোন রকম ছুটি না নিয়ে আমতলী পৌর ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন,সেই সময়ে ক্লিনিকে যান নি। এছাড়া সরকারি বিধি অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়া ও ঠিক মত অফিস না করার করনে মিজানুর রহমান নামের এক মৎস ব্যবসায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল মোনায়েম সাদ সাক্ষরিত এক বার্তায় রাশেদুলকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। তবে তিনি এখনো এর কারণ ব্যাখা করতে পারে নি।

কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডারা ঠিক মত ক্লিনিকে আসে কিনা এটা দেখভাল করেন হেলথ ইন্সেপেক্টর আমেনা নাসরিন। কিন্তু তিনিও এ বিষয়ে উদাসীন। ঠিক মত পরিদর্শন করেন না। জানতে চাইলে বলেন, আমি যানি না সে নির্বাচন করছে, সে শনিবার ছুটি না নিয়েই এই নির্বাচন করেছে। আর আমি ভিজিডে গেলে তাকে পাই। তাছাড়া তিনি নিজেকে সাংবাদিকের বোন বলেও পরিচয় দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল মোনায়েম সাদ বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন বলেন, কেউ নিয়মিত অফিস না করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর / মোঃমনিরুল ইসলাম