বগুড়ার শেরপুরে লোডশেডিং এর নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শতভাগ বিদ্যুতের সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ অথচ বগুড়া শেরপুরে কি কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের তা কারো জানা নেই। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারনে রমজান মাসে মসজিদে নামাজ পড়া সহ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
কোন রকম মাইকিং বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ১২ ঘন্টার মধ্যে ৬/৭ ঘন্টাই বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দিনে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও ভোল্টেজ পাওয়া যায় ১৫০ থেকে ১৮০, এতে করে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিকল হয়ে পড়ছে। অন্য দিকে ভোল্টেজ কম থাকার কারণে মিটার ঘুরছে বেশি গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে প্রায় দিগুণ।
বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানা গুলো প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পরেছে। কারখানার মালিকগন জানান- অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে শেরপুরপল্লী বিদ্যুৎ আমাদের কাছে বিষফোড়ার মতো হয়ে উঠেছে। ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে আমাদের কলকারখানা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং কর্মচারীদের ঠিক মতো বেতনও দিতে পারছিনা। করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
রাতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ শেরপুর জোনাল অফিসের জরুরি বিভাগে ফোন করে লোডশেডিং হচ্ছে তবে কি কারণে এই লোডশেডিং তা জানা যায়নি। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসায়ীগন আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ দিকে রমজানের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রহরেই অন্ধকারের মধ্যে সেহেরি খেতে ও নামাজ পড়া হয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কি কারণে এই লোডশেডিং নাকি অন্য কিছু তা তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ জনগন।
পত্রিকা একাত্তর/ মোঃনুরআলম