নীলফামারীর ডোমারে গরিব মেধাবী ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, অসহায়-বিধবা ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং গুণীজনদের সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলো মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ডোমার থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির নামকরণে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশন’।
শনিবার (২২শে জানুয়ারী) ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ডোমার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু। এতে সভাপতিত্ব করেন—একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. আনজারুল হক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, ডোমার পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন রহমান, ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক, ডোমার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রুবেল ইসলাম, ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি মো. আনজারুল হক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক সহকারী বন সংরক্ষক মো. আনিসুল হক গোল্ডেন স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের পিতা সারাজীবন গণমানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেছেন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কাকমারী সম্মেলনের পরে আমাদের বাড়িতেই সর্বপ্রথম স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নীলফামারীর গর্বিত নেতা সাবেক মন্ত্রী খয়রাত হোসেন সহ পদার্পণ করেছিলেন। গরম পানি দিয়ে গোসল করে নাস্তা করে রাজনৈতিক সফর করেছেন।
তারা আরও বলেন, ১৯৭০ সালের ২৩ অক্টোবর তৎকালীন ছাত্রনেতা সাবেক এম.এন.এ যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রউফ সাহেবের নৌকা মার্কার নির্বাচনী জনসভায় আমাদের পিতা ডোমার উপজেলা পরিষদ মাঠে সভাপতিত্ব করেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আমাদের পিতাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হকের পুত্র প্রয়াত আকতারুল হক আকু দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে মৃত্যুবরণ করায় তার স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচ শত টাকা) করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এলাকার ৮০ জন গরীব ও দুঃস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশন।
পত্রিকা একাত্তর / আজমির রহমান রিশাদ