গৌরীপুরে জনশুমারি প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার বিতরণে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৫ জুন, ২০২২, ১ year আগে

গৌরীপুরে জনশুমারি প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার বিতরণে অনিয়ম

১৫ জুন বুধবার থেকে সারা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২১। সে মোতাবেক ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জনশুমারি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ১০টি ইউপিসহ ১ টি পৌর সভায় গণনাকারী ও সুপাভাইজারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই প্রশিক্ষণার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মঙ্গলবার।

উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহ গণনা উপলক্ষে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ১৩২ জন সুপারভাইজার ও ৮০৫ জন গণনাকারী নিয়োগ দেয়া হয়। প্রথম ধাপে ৪-৭ জুন ও দ্বিতীয় ধাপে ৯-১২ জুন প্রশিক্ষণার্থীদের চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করার জন্য তালিকাভুক্ত হওয়া কর্মী শাহজাহান কবীর ও গৌরীপুর পৌরসভার জন্য তালিকাভুক্ত ওবায়দুর রহমান মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে চারদিনের প্রশিক্ষণে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার বিতরণ করা হয়নি। দুপুরের খাবারের তালিকায় ভাত অথবা কাচ্চি বিরিয়ানি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় খিচুরি। আর সকাল ও বিকালের নাস্তায় ছিল পাঁচ টাকা দামের বিস্কুট আর একটি করে কলা। এমনকি সকালের ও বিকালের নাস্তায় পানিও দেওয়া হয়নি। শেষ দিন দুপুরের খাবারের সঙ্গে ১৫ টাকা দামের একটি কোমলপানীয় দেওয়া হলেও সেদিন আর পানি দেওয়া হয়নি।

অভিযোগকারী শাহজাহান কবীর বলেন আমার জেনেছি প্রতিদিন জনপ্রতি খাবারে ২৫৫ টাকা বরাদ্দ। আমার ধারণা যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে তা ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার বেশি নয়। এছাড়াও প্রচারণার জন্য বরাদ্দ থাকলেও ইউনিয়নের প্রচারণা করা হয়নি।

অভিযোগকারী ওবায়দুর রহমান বলেন খাবার বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি আমার সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিসারকে জানালে তিনি বলেন যেভাবে আছে সেভাবেই খেতে হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীদের প্যাড ও কলম দেয়া হয়নি ।

মাওহা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা জোনাল অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়। সঠিকভাবে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে খাবারের জনপ্রতি কত টাকা বরাদ্দ জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন কাজ করতেছি, বলতে পারবো না।

পৌরসভার দায়িত্বে থাকা জোনাল অফিসার সোমা আক্তার বলেন খাবার বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন নিন্মমানের খবার দেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমি অভিযোগটি জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিব।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news