বিভাগীয় পর্যায়ে বিতর্কে সেরা ডোমারের সন্তান জয়

উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার

উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার

৩ জুন, ২০২২, ১ year আগে

বিভাগীয় পর্যায়ে বিতর্কে সেরা ডোমারের সন্তান জয়

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ প্রতিযোগিতার উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিতর্ক (একক) বিভাগে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ডোমারের কৃতি সন্তান জয় লালা। আগামী ৫ই জুন লড়বেন জাতীয় পর্যায়ে।

গত ৩১শে মে (মঙ্গলবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং রংপুর অঞ্চল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা’র বাস্তবায়নে রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের একক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় (ঘ-বিভাগ) শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব মিঞার কাছ থেকে সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন জয় লালা।

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী বাজারের নির্মল কুমার লালা ও মালতী রাণী লালা দম্পতির সন্তান জয় লালা। সে রংপুর কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় কারমাইকেল কলেজের হয়ে রংপুর জেলার সদর উপজেলার শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

জয় লালা ২০১৬ সালে ডোমারের মটুকপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও ২০১৮ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে কারমাইকেল কলেজের বিতর্ক সংগঠন বিতর্ক পরিষদের মূখ্য সমন্বয়কের সাথে পরিচয় ঘটার সুবাদে সেখান থেকে বিতর্ক পরিষদের সদস্য হন তিনি। ২০১৭ সালে জাতীয় নারী দিবসে চ্যানেল আই বিতর্কে অংশগ্রহণ করার পর নিয়মিত বিতর্ক, বক্তব্য, কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন জয়।

বিতর্কের ইতিবৃত্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে বিতার্কিক জয় লালা বলেন, মাধ্যমিকে পড়ার সময় মটুকপুর স্কুল এন্ড কলেজে দেখেছি বিতর্ক প্রতিযোগিতা হতো, সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করলেও বিতর্ক করার সুযোগ কম ছিলো। তবে আমার বিতর্কের মূল হাতেখড়ি হয় বিতর্ক পরিষদে। এখানেই বিতর্ক শিখেছি। বিতর্কের সুবাদে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও সকল শ্রেণির মানুষের সাথে মিশেছি। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী, আমলা, টেলিভিশন ব্যক্তিত্বদের হাত থেকে পুরষ্কার পেয়েছি। আমার পেছনের মানুষটি ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম স্যার। যিনি আমাকে পিতার মত তিনি শিখিয়েছেন নিঃশর্তভাবে। দিলীপ কুমার রায় স্যার, মতিয়ার স্যার, রিপন স্যার আমায় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তবে এত কিছুর পিছনের মূল কারিগর আমার বাবা নির্মল কুমার লালা। ওনার অনুপ্রেরণা ও সমর্থন আমার শক্তি। স্কুলের বিতর্ক দলে মনোনীত না হওয়া ছেলেটা এখন জাতীয় টেলিভিশন বিতার্কিক, এই বোধটা আমায় সবচেয়ে বেশি শক্তি দেয়।

তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে জাতীয় শিশু একাডেমিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসবে যোগদান, নিয়মিত আঞ্চলিক পর্যায়ের বিতর্ক অংশগ্রহণ, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে একাধিক বার শ্রেষ্ঠ বক্তা ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। সে-বছরই শিক্ষা ও সংস্কৃতি সপ্তাহে কারমাইকেল কলেজের সাহিত্যে চ্যাম্পিয়ন হই৷ ২০১৮-১৯ সেশনে বিতর্ক পরিষদের তথা কারমাইকেল কলেজের বর্ষসেরা বিতর্কিক নির্বাচিত হই। এরপর করোনার মহামারীর পরে ২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রতিযোগিতায় উপস্থিত বক্তৃতায় বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করি। ঐ বছরে আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগীতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করি। এবছরের শুরুতেই রংপুরের জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা উপলক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে কারমাইকেল কলেজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জন করি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুরুর দিকে ২৩তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জাতীয় টেলিভিশন বিতার্কিক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন জয় লালা। এবছরের উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা বিতার্কিক (একক) হয়ে আগামী ৫ই জুন ঢাকায় লড়বেন জাতীয় পর্যায়ে।

পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news