দিনাজপুরের গর্ব তৌফিক; DMC, BUET, ঢাবিতে চান্সপ্রাপ্ত

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর

৪ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

দিনাজপুরের গর্ব তৌফিক; DMC, BUET, ঢাবিতে চান্সপ্রাপ্ত

যেকোনো শিক্ষার্থীর জীবনে এডমিশন টেস্ট এক মূর্তিমান আতঙ্ক। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েও কেউ কেউ কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। আবার কারও কারও এডমিশন সিজন কাটে স্বপ্নের মত। গ্রিক বীর আলেকজান্ডার যেমন সবকিছু জয় করতে নেমেছিলেন, এরাও যেন সেরকম কোনো মিশনে নামে।

এরকম একজন হলেন তাহমিদ আল তৌফিক। তৌফিক বালুবাড়ি নিবাসী রেফায়েত উল্লাহ এবং আতিয়া আফসানা দম্পতির বড় ছেলে। দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা তৌফিক ২০২১-২২ সেশনে ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।

দিনাজপুর থেকে মেডিকেল-বুয়েট-ঢাবি তিনটায় আগেও অনেকে চান্স পেয়েছেন তবে ঢাকা মেডিকেল-বুয়েট-ঢাবিতে তৌফিকই প্রথম। এরকম সাফল্যের রহস্য কী- জিজ্ঞেস করায় তৌফিকের খুব সহজ এবং বিনয়ী উত্তর: "কোনো রহস্য নেই।

কলেজ লাইফের শুরু থেকে সঠিক প্ল্যান এবং গোছানো পড়াশোনা করলে এরকম রেজাল্ট সম্ভব।" কীভাবে পড়াশোনা করলে তিনটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া যায় এবং জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে কী উপদেশ দিবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "প্রথমেই তিনটা টার্গেট করে পড়া যাবে না।

তিন জায়গায় চান্স পাওয়ার ইচ্ছা থাকতেই পারে, তবে একটা একটা করে টার্গেট ধরে এগোতে হবে। কলেজে ওঠার পরে প্রথম ছয় মাস আমার টার্গেট ছিল এইচএসসির পড়াটা গুছিয়ে নেয়া। ডাক্তার রাশেদ ভাইয়া, সালাম স্যার, বৈশ্য স্যার, রহমত স্যার একাডেমিকের বায়োলজি, ফিজিক্স, ম্যাথ, ক্যামেস্ট্রির বেসটা তৈরী করে দেন। শুরুতে আমার টার্গেট ছিল মেডিকেল আর ঢাবি।

করোনার কারণে একটা লম্বা সময় পেয়েছিলাম। মেডিকেল এবং ঢাবির প্রিপারেশন গুছিয়ে আসার পরে ইঞ্জিনিয়ারিং টার্গেট করি। দিনাজপুরে ওয়ালিদ ভাইয়া, আনাস ভাইয়া, তুরাদ ভাইয়াসহ প্রায় প্রতি বছরই বুয়েট-মেডিকেল-ঢাবি তিন জায়গায় চান্স পাওয়া স্টুডেন্ট থাকে। এরা আমার ইন্সপিরেশন ছিল।

তাছাড়া রাশেদ ভাইয়াও সবসময় বলতেন- তোমাকে দিয়ে তিনটাই পসিবল; লেগে থাকো। তিন জায়গায় চান্স পাওয়ার পরে কোন জায়গায় পড়বেন জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, "আমার ইচ্ছা বুয়েটে পড়ার। এখনও ফাইনাল করি নি অবশ্য। আরেকটু ভেবে দেখি।"

ঢাকা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত জেলা দিনাজপুরের স্টুডেন্টরাও পারে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের তিনটা প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়ে দেখাতে। স্বপ্ন দেখতে বাঁধা নেই; ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের মানসিকতা থাকলে যেকোনো জায়গা থেকেই যেকোনো স্বপ্নই পূরণ করা সম্ভব- এই আশার বার্তাই সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয় তৌফিকের মত সফলরা।

পত্রিকাএকাত্তর /রায়হান কবির

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news