নড়াইলে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে বিএনপির স্বারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২২ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

নড়াইলে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে বিএনপির স্বারকলিপি প্রদান
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

পুুলিশি বাধা উপেক্ষা করে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নড়াইল জেলা বিএনপির উদ্যোগে নড়াইল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ফকরুল হাসান জেলা বিএনপির দেয়া স্বারকলিপিটি গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্মারকলিপি প্রদান করতে আসার সময় পুলিশ বাধা প্রদান করে। বাধা উপেক্ষা করতে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েকজনকে স্বারকলিপি দিতে রাজি হয়।

স্মারকলিপি প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মনিরুল ইসলাম, ১নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো: আলী হাসান, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান আলেক, সদস্য সচিব মোজাহিদুর রহমান পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি মো: মশিয়ার রহমান, সাধারন সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো: রহিম ফকির,মুন্সী বায়েজীদ বিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খন্দকার মন্জুরুল সাইদ বাবু,নড়াইল পৌর যুবদলের আহবায়ক রিয়াজুল কামাল পাভেল,যুগ্ন আহবায়ক মো: রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক জীবন ইসলাম টিপু, কালিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: কামাল সিদ্দিকী, কালিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক মো: আমীন বিশ্বাস,নড়াইল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো: ফিরোজ মোল্যা, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানি,সহ-সভাপতি মো: রুমেল হোসেন কবির, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক তাহমিদ আল মারিন, রিদানুল ইসলাম নিশান প্রমূখ।

বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বলেন,বর্তমান বাজারে চাল ডাল ভোজ্য তেল পেয়াজ মরিচ গুড়োদুধ শাকসবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে অসহায় ক্রেতা। মোটা চাল এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা চিকন চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভোজ্য তেল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, গুড়ো দুধ ৫৯০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকার নিচে নামে না। সবজিসহ প্রত্যেকটি জিনিস এই ভরা মৌসুমে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্যামিতিকহারে এই দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী নীতির বর্ধিত প্রকাশ। হরিলুট টাকা পাচারসহ সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি করে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার।

এই বৃদ্ধির ‘চেইন রিএ্যাকশন হিসেবেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হুহু করে বাড়ছে। গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৯০ শতাংশ, গ্যাসের দামবৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৪ শতাংশ, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশ,বং পানির দাম বেড়েছে ২৬৪ শতাংশ। এই দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরনের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেত না। জবাবদিহিতা নেই বলেই দাম বৃদ্ধির পেছনে অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে।

ক্ষুদ্রা ও অনাহারে ক্লিষ্ট জনগণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী. যেন সরকারের কোন দায় নেই। সারা দেশে দুর্ভিক্ষের ছায়া প্রতিদিনই বিস্তৃত হচ্ছে। এ ছাড়া গাড়ি ভাড়া বাড়িভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাগামহীনভাবে।

এমনিতেই কর্মসংস্থান নেই, তার উপর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে।

অভাবের তাড়নায় মা সন্তান বিক্রি করছে, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে। চৈত্রের তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি থেকে তুলনামূলক কম মূল্যে নিত্যপণ্য কেনার জন্য ক্রেতাদেও উপচে পড় ভিড়ে বোঝা যায় বর্তমান পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। চাহিদার তুলনায় পণ্য কম থাকায় দুই তিন ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় বিক্রি এবং তার পরে পন্য কিনতে আসা ক্রেতারা খালি হাতে ফিরে যান।

এমতবস্থায় ক্ষুদা,অনাহার,অর্ধাহারে বিপন্ন দেশের মানুষেেক এই শাষরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরনে অতি দ্রুত ব্যবস্থ গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল-বিএনপি আহবান জানাচ্ছে।

বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে গিয়ে সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস ফেলতে হয়। আওয়ামীলীগ সরকার হরিলুট, টাকা পাচারসহ সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে জাতীয় অথর্নীতির ভয়াবহ ক্ষতি করে দফায় দফায় বিদ্যুত, জ্বালানী তেল, গ্যাস ও পানির দামসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করেছে।

পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news