নাজিম উদ্দিন মিকন চেয়ারম্যান ১নং সিরাজপুর ইউনিয়ন নোয়াখালী, কোম্পানীগঞ্জ। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভ্যিনিউর সামনে গ্রেনেড হামলায় ২২জন নেতা, কর্মী প্রান হারায় এবং অসংখ্য নেতা, কর্মী মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়।
সভানেত্রীকে প্রানে রক্ষায় মানব ঢালে মারাত্মক আহত জননেতা ওবায়দুল কাদের এম,পি ভর্তি হয় শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।২২ই আগষ্ট হরতালে অচল ঢাকা। কিছুটা রিক্সাযোগে, কিছুটা হেঁটে শিকদার মেডিকেলের উদ্যেশে রওয়ানা দিলাম। আমি, ফরিদ ভাই, সালাউদ্দিন ভাই, সোহেল, নিজাম, খাজা, সাগর সহ কয়েকজন।
গ্রেনেডের স্প্রিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ওবায়দুল কাদের এম,পি দুই পায়ের তালু থেকে কোমর পর্যন্ত ব্যান্ডেচ। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর প্রতিটি নেতা,কর্মীকে অনুরোধ করছেন ৫নং এ যেতে।
আমরা সিটের পাশে দাঁডাতেই আমাদেরকে বললেন তোমরা ৫নং যাও।সুদাসদনে যাও।নেত্রীকে ঘিরে রাখো, আপাকে বাঁচাতে হবে।
জীবন মূত্যুর সন্নিক্ষনে এসে একজন সহকর্মীর নেত্রীর প্রতি এমন ভালবাসয় আমরা সকলে কেঁদেছি। নেতার নির্দেশ মতে আমরা সুদাসদনের সামনে গিয়ে দেখি মায়া চৌধুরী, সাইফুজ্জমান শেখর, মারূফা আক্তার পপি সহ হাজার হাজার নেতা, কর্মী সুদাসদনের সামনে অবস্থান করছেন।আমরাও জয়বাংলার শ্লোগানে নিজেদেরকে একাকার করে দিলাম।
পত্রিকাএকাত্তর /আবু সাঈদ