বিরামপুর পৌরসভা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর

১৮ জুন, ২০২২, ১ year আগে

বিরামপুর পৌরসভা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌরসভার উদ্যোগে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় বিরামপুর পৌরসভা কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলীর সভাপতিত্বে

বিরামপুর পৌরসভায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেসবাউল ইসলাম মেজবা, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, প্যানেল মেয়র আব্দুল আজাদ বকুল, সাব-ইন্সপেক্টর এরশাদ মিয়া, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান, ইনটারনেট ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন প্রমুখ।

এসময় বিরামপুর পৌর পরিষদের কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌর শহরের ঔষধ, কাপড়, রড-সিমেন্ট ও ইলেকট্রিনিকস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি/সম্পাদক, সদস্য, সাংবাদিকবৃন্দসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিরামপুর পৌর শহরকে পুরো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন সকল ব্যবসায়ী সমিতি ও পৌরবাসী। এটি একটি যুগ উপযোগী যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্ল্যেখ করে বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান বলেন,পৌর শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে যেকোন অপরাধ সহজেই শনাক্ত করা যাবে। ফলে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে। তাই এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই।

বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার আগেই বিরামপুর পৌর শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিরামপুর পৌর শহরের অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রায় ২১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও প্রথম পর্যায়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার আগেই ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাঁকি স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরা আরো বাড়ানো হবে।

তিনি আরো বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে পৌর শহরের ইভটিজিং, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরায় যদি কোন কিছু ধরা পড়ে তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন হলে পৌর শহরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের পক্ষে অনেক সহজ হবে বলেও তিনি মনে করেন ।

পত্রিকা একাত্তর /এবিএম মুছা

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news