দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নে রাতের আধাঁরে গাছ বাগান থেকে সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই বিষয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে।
১১মে বুধবার উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়াডস্থ শামুখ ছড়ি ছিদ্দিকার ঘোনা হতে রাতের অন্ধকারে প্রায় ৪০টি সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে বন খেকোরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় জানা উপজেলার ২ নং জোয়ারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রসূল বাবুল গংয়ের দীর্ঘদিনের বন্দোবস্তীকৃত জায়গা ধোপাছড়ি শামুক ছড়ি ছিদ্দিকার ঘোনায় এলাকায় প্রায় ১৪ একর ৪৪ শতক পাহাড়ি ভূমিতে সেগুন গাছের বিশাল বাগান সহ আম,লেবুর বাগান করে আসছেন।
উক্ত বাগান দেখাশুনার করার জন্য কক্সবাজার এলাকার আবদুল শুক্কুর নামের এক ব্যক্তিকে কেয়ার টেকার হিসাবে রাখা হয়। মানুষ যখন ঈদুল ফিতরের উৎসব নিয়ে ব্যস্ত সেই সুবাধে বাগানের দায়িত্বরত আবদুল শুকুরের সাহায্য নিয়ে ঐ এলাকার আবদুর রহিম ও আবদুল গনি মাষ্টার নামের কতিপয় বন খেকোরা রাতের অন্ধকারে বাগান হতে ৪০টি সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায়।
যার আনুমানিক মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য টিপু দাশকে জানানো হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সম্প্রতি এলাকায় বন খেকোদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বন রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এ ঘটনায় বাগান মালিক গোলাম রসুল বাবুল বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ধোপাছড়িস্থ সাঙ্গু বিট কর্মকর্তা নুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিনি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন