নতুন বাসা নির্মান করতে গিয়ে চাঁদাবাজদের দৌড়াত্বে অতিষ্ট এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নওগাঁর সাপাহারের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা টেলিভিশন এসোশিয়েশন অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলণে চাঁদাবাজদের তৎপাতা ও তাদের দ্বারা নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ও ৩ শিশু সন্তান সাথে ছিলেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখিত বক্তব্য বলেন, এক বছর আগে সাপাহার সদরে তার পৈত্রিক পুরনো দ্বিতল বাসা ভেঙে নতুন বাসভবন করতে যান তিনি। এ সময় সাপাহারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম সুলতান, শাহাদাত ও বিএনপি নেতা মুরাদ, তার বাসা করতে বাঁধা তৈরি করে।
তারা আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে তাদের লোক পাঠিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বললে বিপুল অংকের চাঁদা দাবী করেন তারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় কোন ঝামেলায় জড়াবেন এমন সরলতায় চাঁদাবাজ বাহিনীকে কয়েক দফায় তিনি ৫ লাখ টাকা তুলে দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
কিন্ত তার পরও আরো ৩ লাখ টাকার দাবীতে গত ২০ এপ্রিল ১০/১২ জনের চাঁদাবাজ বাহিনী নব নির্মিত ওই বাড়ীতে যায়। এ সময় টাকা দিতে অপারতা প্রকাশ করলে তারা বাড়িতে ভাংচুর চালায়। তারা বাসার সিসিটিভি ভেংগে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে ওই দিনই সাপাহার থানায় অভিযোগ দিতে যান আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্ত সাপাহার থানার ওসি তারেকুর রহমান ওই অভিযোগ না নিয়ে উল্টো তাকে হয়রানী করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন। চাঁদাবাজদের দাবী পুরণ না হওয়ায় অব্যহত প্রাণ নাসের হুমকিতে তিনি পরিবার নিয়ে বাসা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজশাহীতে।
অগ্রনী ব্যাংকে চাকুরী করা আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে মানবিক দাবী ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এ ব্যাপারে সাপাহার থানার ও‘সি তারেকুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি ভুক্তভুগীর কোন অভিযোগ পাননি বলে উল্টো অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন এমন আশ্বাস দেন ও‘সি তারেকুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকা একাত্তর /মোঃ শহিদুল ইসলাম