পাথরঘাটায় সরকারি খাল ভরাট করে সাবেক অধ্যক্ষের অবৈধ স্থাপনা নির্মান

উপজেলা প্রতিনিধি, পাথরঘাটা

২২ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

পাথরঘাটায় সরকারি খাল ভরাট করে সাবেক অধ্যক্ষের অবৈধ স্থাপনা নির্মান

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালি বাজার পানি চলাচলের খালের উপর পাকা স্থাপনা তৈরি করে দোকান ঘর নির্মান করছেন প্রিন্সিপাল (অবসরপ্রাপ্ত) এনামুল হক জব্বার সহ আরো ১১ জনের একটি দল। খালের উপর ব্রীজ ও কালভার্ট ঘিরে পাকা স্থাপনা তৈরী করতে মানছেন না সরকারি কোন নিয়ম নীতি।

খালটি নিজেদের দাবি করে খালের ভিতরে পাকা পিলার নির্মান করে খালের পানি চলাচলের গতিপথ নষ্ট করে পাকা স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনামুল হক ও তার লোকজন।

এনামুল হক সাহেব কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল। তিনি এলাকায় অবৈধ দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ, খাল নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হওয়ার পরেও এই এনামুলের দখল থেকে বাজারের কোন লোক বাঁধা দেয়ার সাহস পাচ্ছে না।

এনামুল হক জব্বার সাহেব এর আগেও একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থাপনার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর পাকা স্থাপনা বন্ধ করে দিয়েও কাজে আসছেনা।

এনামুল হক সকল প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।কাটাখালী বাজারের খাল দখল করে যারা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন তারা হচ্ছেন এনামুল হক সাবেক প্রিন্সিপাল, মোহাম্মদ বশির, ফোরকান, মোঃ খলিল, মোঃ কামাল, মোঃ জালাল, মোঃ সগীর মোঃ আমীন, বেলায়েত হোসেন ও কবির এই সকল প্রভাবশালীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে কাটাখালি বাজার খালের উপরেই ভরাট করে পাকা স্থাপনা করছেন।

সাধারণ মানুষের ধারণা পাকা স্থাপনা করার পরে জোয়ার ভাটায় পানি চলাচলের খালটি বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষ পানি থেকে বঞ্চিত হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দু'পাশের শত শত একর কৃষিজমি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাকা স্থাপনা করার নিষেধ থাকলেও তিনি ও তার লোকজন পেশি শক্তি প্রদর্শন করে পাকা স্থাপনা তৈরি করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাতের অন্ধকারে পাকা স্থাপনার উপরে টিন ও কাঠের ঘর তুলছেন। প্রশাসন এসে কাজ বন্ধ করলেও রাতের আধারে সঙ্গবদ্ধ হয়ে পাকা ঘরে স্থাপন করছে।

শিরিন বেগম স্বামী সিদ্দিকুর রহমান নামের একজন নিজেদের পৈত্রিক জমি দাবি করে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও থেমে থাকেনি এনামুল ও তার দলের স্থাপনা করার কাজ।

এনামুল হক জব্বার বলেন, আমাদের ক্রয় করা সম্পত্তি আমরা পাকা স্থাপনা করতেছি এতে সরকারের কিছু আসে যায় না। বিগত দিন থেকেই ঘর নির্মানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম এখন সুযোগ হয়েছে তাই কাজ করছি।

খালের জমিটি নিজের দাবী করে স্থানীয় কিছু লোকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সহ সরকারকে বিবাদী করে একটি মামলা করেছেন এই এনামুল হক।

মামলা চলাকালীন অবস্থায় পাকা স্থাপনা করার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সম্পর্কে স্থানীয় বসবাসকারী লোকজন বলেন খালের উপর যেভাবে প্রিন্সিপাল সাহেব পাকা স্থাপনা তৈরি করেছেন এভাবে করতে থাকলে ভবিষ্যতে খাল বন্ধ হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে দুপারের মানুষের শত শত একর জমির কৃষি জমি।

আদালত চলাকালীন অবস্থায় পাকা স্থাপনা করার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এনামুল সাহেব কারো কথাই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে জনাব এনামুল হক সাহেবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই জমি আমার ক্রয়কৃত জমি, সরকারি যে খালটি রয়েছে সেটি দক্ষিণ পাশে অবস্থিত, তবে প্রশাসন নিষেধ করার পর কাজ বন্ধ রয়েছে।

পত্রিকা একাত্তর /মোঃ মনিরুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news