চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই দেশকে তারা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।
দেশে বর্তমানে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনা টিকা ক্রয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার লুটপাট করা হয়েছে। সরকার যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানে লুটপাট হচ্ছে। এই সরকার জনগনের কাছে দায়বদ্ধতা নেই। কারন ভোটের জন্য এখন জনগনের কাছে না গিয়ে প্রশাসনের কছে যায়। তাদের দুর্নীতি, লুটপাট আর অপশাসনের ফলে দেশের জনগন অনেক আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তাই সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে আরো একটি যেনতেন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে যদি দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে জনগন দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল ২২ইং) দুপুরে ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্ণেল স্কয়ারে কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর পক্ষ থেকে গরীব অসহায় সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সংগ্রাম করছে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্টা করার জন্য, দেশকে ধ্বংস স্তুপ থেকে উদ্ধার করার জন্য। যারা দেশকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে তারাই বিএনপির শত্রু। আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনও তাদের বিরুদ্ধে।
জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার মামলা দিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও নির্বাসনে রেখেছে এ সরকার। আগামী নির্বাচনের আগেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নয়তো গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকারের রেখে দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। সরকারে দেশের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে আওয়ামি অঙ্গ সংগঠনে পরিনত করেছে।
তাই এই রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার ও সাংবিধানিক সংস্কার করার জাতীয় ঐক্যমতের মাধ্যমে জাতীয় সরকারের রুপরেখা দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। আগামী নির্বাচনে আওয়ামি লীগ সরকারকে আর ছাড় দেয়া হবেনা।
আওয়ামি লীগ সরকার এমনি এমনি যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যামে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। এজন্য আমাদের দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণ মাঠে নামলে এই সরকার এক মুহূর্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ফরিদুল আলম এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম,
আকবরশাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, নগর বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস রশিদ, সাবেক সহ সংস্কৃতিক সম্পাদক আলি আজম, সদস্য আইয়ুব খান, ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি কুতুব উদ্দিন চৌঃ, জাহাঙ্গির, করিম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলি হায়দার ছোটন,
ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়াতুর রশিদ, আকবর শাহ থানা মহিলা দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক জোহরা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলেখা বেগম জুলি, যুবদল নেতা আশ্রাফ আলী, মোঃ হানিফ, মো. আনছার প্রমূখ।
পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন