‘জাতীয় গণগ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষ্যে “মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরে নীলফামারী” গ্রন্থের লেখক হিসেবে পুরষ্কৃত হলেন ডোমারের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মো. আল-আমিন রহমান।
শনিবার (৫ই ফেব্রুয়ারী) নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার’র আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন। এতে সভাপতিত্ব করেন—নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাহারুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন—শহীদ ধীরাজ-মিজান স্মৃতি পাঠাগার ও মিলনায়তনের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াস হোসেন, নীলফামারী জেলা বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, নীলফামারী সাধারণ গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ও নীলফামারী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরী ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী কর্মকর্তা তাওহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন গণগ্রন্থাগারের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এ বিষয়ে লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মো. আল-আমিন রহমান জানান, লেখালেখির প্রতি আকর্ষণ আমার সেই আগে থেকে। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে যে, বাড়ির সামনে এলাকার সবার জন্য নির্মাণ করেছি একটি পাঠাগার। ‘শহীদ মিজান-আব্দুল বারী স্মৃতি সংসদ পাঠাগার’ বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ভাতায় পরিচালিত ও জাতীয় গণগ্রন্থাগার কর্তৃক সহায়তাপ্রাপ্ত। ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করতে করতে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরে নীলফামারী’ এবং ‘বীরাঙ্গনাদের বোবাকান্না’ নামে ২টি বই প্রকাশ করি। আজ বই দুটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহোদয়কে শুভেচ্ছা স্বরূপ উপহার দিয়েছি। আমাকে ‘জাতীয় গণগ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষ্যে পুরষ্কৃত করায় অনেক গর্বিত ও আনন্দিত।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ