অবশেষে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল বাল্য বিয়ে। গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের একতা বাজার সংলগ্ন এক বাড়িতে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল।
গোপন খবরের ভিত্তিতে উপজেলা নিবাহী অফিসার ছুটে যান ঘটনাস্থলে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছুটাছুটি করে পালিয়ে যান উপস্থিত সকলে। ওই বাড়ির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হলুদ শাড়ি পরা অবস্থায় ওই ছাত্রী এবং তার মাকে আটক করে। পরে তাদেরকে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
রাতেই ভ্রামম্যান আদালত বসিয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় মা ও মেয়েকে। এ সময় বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম, আব্দুল মালেক উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক শাহজান মিঞা, সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক এ মান্নান আকন্দ, বেলকা ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজি উপস্থিত ছিলেন।
ওই ছাত্রীর মা জানান, দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশি এক বকেটে যুবক তার মেয়েকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। সে কারণে তারা মেয়েকে বাল্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যানকে পরামর্শ প্রদান করেছে উপজেলা নিবার্হী অফিসার।
পত্রিকা একাত্তর /হযরত বেল্লাল