দিনাজপুর গোরে-এ-শহীদ বড় ময়দান আঞ্চলিকভাবে দিনাজপুর বড় মাঠ নামে পরিচিত। এর আয়তন ৭৮ একর। এটি দিনাজপুরের প্রাণনাথপুর ও খামার ঝাড়বাড়ী মৌজায় অবস্থিত।
দিনাজপুর গোরে-এ-শহীদ ময়দানের পূর্ব পার্শ্বে দিনাজপুর শহরের জিরো পয়েন্ট অবস্থিত।
দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। করোনার কারণে পরপর দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হবে দিনাজপুরে।
দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ ময়দানে আয়োজিত এশিয়া উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার মাঠে ঈদের জামাতে এবারে ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এবারে আয়োজনে রাখা হয়েছে ১০ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই ঈদগাহের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী হলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। শুক্রবার, ৮ এপ্রিল আসন্ন ঈতুল ফিতরের নামাজ নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
ইকবালুর রহিম বলেন, এবার দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত। আয়োজনের প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আমরা দুই একদিনের মধ্যেই জেলা প্রশাসকের, ডিসি, সঙ্গে আলোচনায় বসব। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ এই ঈদগাহের মিনারকে ইতোমধ্যেই নবসজ্জায় সাজানো হয়েছে।
করা হয়েছে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা। এ সময় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া মাঠের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শোলাকিয়া নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ।
তবে আয়তনের দিক বিবেচনা করলে শোলাকিয়ার চেয়ে ৪ গুণ বড় দিনাজপুরের গোড়-এ শহীদ বড় ময়দান। এবারের ঈদুল ফিতরের নামাজে মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী ইমামতি করবেন বলেও জানান জাতীয় সংসদের হুইপ।
ঈদগাহটি তৈরি করা হয়েছে মোগল স্থাপত্যরীতিতে। মেহরাবের উচ্চতা ৫৫ ফুট। ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট এই ঈদগাহে রয়েছে দুটি মিনার, যাদের প্রতিটির উচ্চতা ৬০ ফুট। মাঝের গেট দুটি ৪৭ ফুট করে চওড়া।
এতে খিলান আছে ৩২টি। ঈদগাহ তৈরিতে রড, সিমেন্ট, বালু ছাড়াও সিরামিক টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে আছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। সন্ধ্যার পর থেকেই মিনারে নান্দনিক আলো জ্বালানো হয়।
ঈদগাহ মাঠের দুধারে করা হয়েছে ওজুর ব্যবস্থা। ইসলামী ভাবগাম্ভীর্যে সমৃদ্ধ ইরাকের মসজিদে নববি, কুয়েত, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের স্থাপনার আদলে এর আকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই ঈদগাহ নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা