শুক্রবার সকাল ৯ঘটিকায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় স্বরসতী বাড়ির প্রাঙ্গনে নানা আয়োজনে কক্সবাজার হিন্দু মহাজোটের উদ্যাগে পালিত হল দোল উৎসব।
হিন্দু যুব মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমান প্রতাপ শর্মার পরিচালনায় অনুষ্টানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি শ্রীমান বুলবুল তালুকদার।ও সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার দে।
উক্ত দোল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমান রাসেল দে ও সংগঠনের ভিবিন্ন নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
শাস্ত্রমতে দোল উৎসবের উৎপত্তি..দোলযাত্রা একটি সনাতনহিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এটির উদ্ভব ভারতীয় উপমহাদেশে এবং সেখানে বেশি উদযাপিত হয় তবে দক্ষিণ এশিয়া প্রবাসীদের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল এবং পশ্চিমা বিশ্বের কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।