সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘সরস্বতী পূজা’। নীলফামারীর ডোমারে যথাযথ নিয়মে অনাড়ম্বর ভাবে পালিত হলো শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা।
শনিবার (৫ই ফেব্রুয়ারী) ডোমার পৌরসভা সহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে সরকারের করোনা কালীন নির্দেশনা সমুন্নত রেখেই পালিত হলো সরস্বতী পুজা। এবারের পূজোর প্যান্ডেলের আয়োজনে ছিল না তেমন সাজ-সরঞ্জাম, হৈ-হুল্লোড়।
“পুতুল পুজো করেনা হিন্দু কাঁঠমাটি দিয়ে গড়া—মৃন্ময়ীর মাঝে চিৎময় খোঁজে,হয়ে যায় আত্মহারা”। প্রতি বৎসর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এ পুজা পালন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। দেবী সরস্বতীকে বুদ্ধিদায়িনী, ঐশ্বর্যদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, শক্তির আধার হিসেবে ঢাকের বাজনা, বেলপাতা, ব্রাহ্মণের মন্ত্রের মাধ্যমে আরাধনা করে থাকে তারা।
ডোমার উপজেলা শাখা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রামচন্দ্র বর্মন জানান, সরকারের নির্দেশনা ও সরস্বতী পুজার নিয়ম মেনে পুজার আয়োজন করতে ধর্মাবলম্বীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবারে উপজেলার প্রায় ৭৫৫টি জায়গায় শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ