দীর্ঘ আট বছর পর নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩১শে জুলাই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত প্রচার হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সম্মেলনকে ঘিরে সকল নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসার পাশাপাশি পছন্দের নেতাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। উপজেলার অন্তর্গত প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সহ কুশল বিনিময় করছেন পদ প্রত্যাশীরা।
বরাবরের মতো এবারও সভাপতি পদে লড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে আহ্বায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আমিনুল হোসেন সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ময়নুল হক (মনু) এর প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
তবে সাধারণ সম্পাদক পদে অনেক কয়েকজন নবীন ও প্রবীণ নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার গুঞ্জন উঠেছে। তাদের মধ্যে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মনজুরুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদ আহম্মেদ শান্তু, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমেদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরকার ফারহানা আখতার সুমির নাম বেশি শোনা যাচ্ছে।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও বোড়াগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম রিমুন, ছাত্রলীগের সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রাসেল রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান সোহাগ সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের নাম প্রার্থী হবেন বলে ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে দলীয় পদ সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও বর্ষীয়ান নেতৃবৃন্দরা বলছেন, তার আসার কোনো সুযোগ নেই।
সম্মেলনের ব্যাপারে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করতে নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত আছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ক সভা আয়োজনের পরপর আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের ব্যক্তিবর্গ ও বিতর্কিত নেতাদের দলের নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ