নড়াইলের পৌর মেয়র আজ্ঞুমান আরার ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ মে দুপুরে শহরের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে কোর্ট চত্তর এলাকা প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিকুল আবাহাওয়াকে উপক্ষো করে ২ঘন্টা ধরে চলা এ মানববন্ধনে শতশত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। নড়াইল পৌরবাসী আয়োজনে এ মানববন্ধনে একাত্তত্বা ঘোষনা করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা কৃষক লীগ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সমাজিক সংগঠন এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন নড়াইল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা, প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক, প্যানেল মেয়র-২ রেজাউল বিশ্বাস, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পাটির জেলা সভাপতি অ্যাডঃ নজরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু,সহ-সভাপতি মেশকাতুল ওয়াজিন লিটু , জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শ্রমিক নেতা বিপ্লব বিশ্বাস বিলো, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, কৃষক লীগের আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রকিবুজ্জামান পলাশ, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু সহ অনেকে।
এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, বক্তারা অবিলম্বে এ সব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের মতদদাতাসহ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারি, পৌর পরিষদের সদস্যসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তরা আরো বলেন, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নাম ভাঙ্গিয়ে জেলার একনেতা বিভিন্ন চাদাবাজী, দখল, হামলা করে যাচেছ, সে ধারাবাহিকতায় পৌর মেয়রের উপর হামলা ও চাদা দাবী করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে বলে সকলে আশা করেন। মানববন্ধন শেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে ছাত্রলীগের নামধারী কতিপয় যুবক মেয়রের কক্ষে ঢুকে মেয়রকে গালিগালাজ অপমান ও চাদা দাবী করে। সে ঘটনায় মেয়র নড়্ইাল সদর থানায় একটি চাদাবাজী মামলা করেন।
সে মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হকের সাথে পৌর ভবনের নিজ কক্ষে কথা বলছিলেন।
এ সময় ওই কক্ষে অবস্থান করা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন, নড়াইল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উচ্ছাস আলোম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফাইনুল ইসলাম শাওন উচ্চ স্বরে বলতে থাকে মেয়র নাকি পৌরসভার হাটবাজার, বাস টার্মিনালের খাজনা ও টোলের টেন্ডার থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫০% টাকা দাবি করেছেন।
এক পর্যায়ে তারা অশালীন ভাষায় গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দেয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর মেয়রের কক্ষে পৌর পরিষদের এক সভায় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় এবং ঐদিন রাতে পৌর মেয়র বাদি হয়ে দোষিদের বিচার দাবি করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিলয় রায় বাঁধন, উচ্ছ্বাস ও শাওনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা ও পরদিন বুধবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শওকত কবির বলেন, একটি চাদাবাজী মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পত্রিকা একাত্তর /হাফিজুল নিলু
 
                                                                            
 
                                                                              
                                        
 আরও পড়ুন
 আরও পড়ুন 
                                                                                                            
                                                                                                            
                                                                                                            
                                                                                                            
                                                                                                            
                                                                                                            
                                                                                                           