নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি বহাল রেখে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
দীর্ঘদিন পর শনিবার (৭ই মে) বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিংয়ে অব্যাহতি প্রাপ্ত ডোমার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদের অব্যাহতি বহাল রেখে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদানের খবর নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।
সূত্রমতে জানা যায়, গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজাকার পুত্র তোফায়েল আহমেদের দ্বারা জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসৌজন্যমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে ৩১শে মার্চ নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক তোফায়েলকে অব্যাহতি প্রদানের নির্দেশ দেন। পরদিন ১লা এপ্রিল নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তোফায়েলকে অব্যাহতি প্রদান করা হলেও, পরবর্তীতে পুনর্বহালের জন্য সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।
এবিষয়ে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল বলেন, “তোফায়েল আহমেদের বাবা, দাদা ও নানা তিনজনের নাম গত ২০১৯সালের ১৫ই ডিসেম্বর রাজাকারের তালিকায় প্রকাশ পায়। আওয়ামী লীগের দলীয় লেবাস পড়ে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকার পুত্র তোফায়েল উপজেলা চেয়ারম্যানও বনে যায়।
এরপরই শুরু হয় তার অরাজকতা ও দুর্নীতির মহোৎসব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজাকার পুত্রকে চিহ্নিত করে অব্যাহতি প্রদান করায় প্রাণসঞ্চার ফিরে পেয়েছে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নীলফামারী-১ আসনকে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া এখন মূল লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, গত ২০১৯সালের ১৫ই ডিসেম্বর ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদের পিতা শওকত আলী সরকার (১০২৫), দাদা চাটি মামুদ সরকার (১০৬১) ও নানা ছমির উদ্দিন সরকার (১০২৪)এর নাম রাজাকারের তালিকায় প্রকাশিত হয়।
পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ