ভালোবাসায় বিচ্ছেদ বড়ই বেদনাদায়ক। আর বিচ্ছেদের কারণ যদি হয় ব্যাক্তি নিজেই তবে কষ্টের পরিমাণ বাড়ে বই কমেনা। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো প্রেমিকার কেমন আচরণের ফলে সম্পর্কের ইতি টানতে পারে প্রেমিক।
প্রেমিকা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে
ছেলেদের অপছন্দের বিষয়ের মাঝে একটি হচ্ছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা। প্রেমিকার বুঝতে হবে যে প্রেমিক প্রাপ্তবয়স্ক। তার নিজের ভালো সে নিজেই বুঝতে পারে। তাই সবকিছুতে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না যাওয়াই উচিৎ। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রেমিককে ব্যবহার করা হলে
ছেলে যদি মনে করে প্রেমিকা তাকে ব্যবহার করছে তবে সেই সম্পর্কে নষ্ট হয়ে যায়। আপনার আচরণে যদি সে বুঝে আপনি তাকে ভালোবাসেন না, তাকে ব্যবহার করছেন তবে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দিতে পারে দূরত্ব।
মানসিক ঘনিষ্ঠতা নেই
ভালোবাসার সম্পর্কে মানসিক ঘনিষ্ঠতা থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজন পরস্পরের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা। যেন মন খারাপ হলে একজন আরেকজনের পাশে থাকে। পরস্পরের প্রতি ভরসার জায়গা থাকে। আর এই মানসিক ঘনিষ্ঠতা না থাকলে দূরত্ব বাড়তে থাকে। প্রেমিকার প্রতি ভরসা বা আস্থা না থাকলে ছেলেরা সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসে।
প্রেমিকা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে
সম্পর্কে ছেলেরা বেশিরভাগ দায়িত্ব পালন করে থাকে। কিন্তু তারা চায় প্রেমিকাও কিছু কিছু দায়িত্ব নিক। সম্পর্কের সব ভার তাকে একা বহন করতে দেওয়া হবে বোকামি। আপনিও নিজে স্বনির্ভর হোন। প্রেমিকা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে।
প্রেমিকার কাছ থেকে আঘাত পেলে
প্রেমিক প্রেমিকার কাছ থেকে দিনের পর দিন আঘাত পেতে থাকলে একটা সময় মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। কেননা, যার কাছ থেকে অনবরত আঘাত পেতে থাকে, মানুষ তাকে বেশিদিন মনে স্থান দিতে পারে না। তাইতো,একটা সময় আপনার প্রেমিকেরও মনে হতে পারে যে এই সম্পর্কে আর এগোনো যাবে না। সেখান থেকেই নিতে পারে ব্রেকআপের মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত।