নীলফামারীর ডোমার সরকারী কলেজ ও ডোমার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিয়েই চলছে পাঠদান। নেই বিষয়ভিত্তিক কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকা।
ডোমার সরকারী কলেজে চরম শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় বাইরে থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক এনে পাঠদান করাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে কলেজে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীরা দ্বিধায় রয়েছে।
অন্যদিকে, মাত্র ৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে চলছে ডোমার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক। ভোগান্তিতে পড়ে নিজ এলাকায় পড়াশোনা করার ইচ্ছা হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জানান, অনেক আশা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম ডোমার সরকারী কলেজে। কিন্তু এখানে বিষয় অনুযায়ী শিক্ষক না থাকায় অন্য কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে। এটা আমাদের মতো পরিবারের পক্ষে কষ্টকর। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হলে, শিক্ষার্থীরা লাভবান হবে।
রুস্তম আলী নামের এক অভিভাবক জানান, ডোমার সরকারী কলেজে শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে চান না। যাদের সামর্থ্য ও মেধা আছে, তারা বাইরের শহরের ভালো কলেজে পড়াশুনা করছে। কিন্তু এলাকার গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের একমাত্র ভরসা ডোমার কলেজ। এজন্য সরকার যেন দ্রুত শিক্ষক সংকট নিরসন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তার দাবী জানাই।
এ বিষয়ে ডোমার সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রেজাউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডোমার সরকারী কলেজে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। এতে ছাত্রছাত্রীদের যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি কলেজ কর্তৃপক্ষের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তাক লাগানো ফলাফল দেখিয়েছে উপজেলা শহর থেকে ৭-৮ কি.মি. দূরবর্তী মিরজাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়। এছাড়া নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেবীগঞ্জ কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা বেশিই দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। অন্যদিকে, ফলাফলের দিক বিবেচনায় ডোমার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ও অন্যসব বিদ্যালয়ের থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ