আজ ১২ই রবিউল আউয়াল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিবস তথা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে নীলফামারীর ডোমারে অনুষ্ঠিত হয়েছে জশনে জুলুস।
রবিবার (৯ই অক্টোবর) সকালে উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের প্রধানপাড়া মকবুল চেয়ারম্যানের ডাঙ্গা থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর ডোমার উপজেলা শাখার আয়োজনে তৌহিদী জনতার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস (ধর্মীয় শোভাযাত্রা) চিলাহাটি ফাজিল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে প্রধানপাড়া ঈদগাহ মাঠে মাহফিলে সমবেত হয়।
ডোমার উপজেলা শাখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত’র সভাপতি মাওলানা আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মাহফিলে বয়ান পেশ করেন—ভারতের হলদিবাড়ি দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত মাওলানা সিরাজুল সালেকিন।
বয়ানে বলা হয়, অন্ধকার যুগ থেকে মানবকূলের মুক্তি সহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ (সা.) কে প্রেরণ করেন এই ধরাধমে। মহানবী অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন এবং আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে ও তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এই দিনের গুরত্ব অনেক বেশি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—জামেয়া তাহেরিয়া বদরুল আমল রোনা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা’র সভাপতি এটিএম নাজমুল আলম জোনা, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাব্বত হোসেন বাবু, কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম স্বাধীন প্রমূখ। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুস এবং মাহফিলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ
আপনার মতামত লিখুন :