নড়াইলে ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগস্থ বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বিকেলে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন -গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, উপ সদস্য সচিব সাফায়েত কামাল দিব্য, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এস এম শহিদ বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা হাকিম, এডভোকেট মুকিতসহ অনেকে।

এসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের কর্থা বলেন। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া গোবিন্দ সাহার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা সহযোগিতাও করেন ডাক্তার জাফরুল্লা চৌধুরী। পরিদর্শনকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কোনো স্বজ্জন মুসলমান, সঠিক মুসলমান কারো বাড়িতে আগুন দিতে পারেন না।

মুসলমান নাম থাকলেই তিনি মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহর বান্দা হয় না। মুসলমান যদি স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। আজকে শুধু সংখ্যালঘু নামের কারণে দরিদ্র মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে।

আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তবে ভারতের হিন্দুত্ববাদী মনোভাব এ ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছে। এ হামলা ও ভাংচুরের নিন্দা জানাই।‘ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের নিন্দা জানাই।

এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। রামু, সুনামগঞ্জে, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণ বাড়িয়া, রংপুর, সব জায়গায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা একই সুতায় গাঁথা। গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তৌহিদী জনতা সাহা পাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এছাড়া দুটি মন্দিরের চেয়ার ভাংচুর করা হয়। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাংচুর আগুনের ঘটনায় লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুর রহমান বাদী হয়ে ১৭ জুলাই ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে।

পত্রিকাএকাত্তর /হাফিজুল নিলু