সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী রাস্ট্র ভারতের কট্টরপন্থী দল বিজেপি'র দুই নেতা কর্তৃক বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সা. ও তার স্ত্রী হযরত আয়েশা রা. কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও কটুক্তির প্রতিবাদে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

৯ জুন (বৃহস্পতিবার) আসরের নামাজের পরে এলাকার সকল দলের সম্মিলিত আয়োজনে কাকচিড়া বাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ীর সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে বাজারের পশ্চিম থেকে পূর্ব, উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রদর্শন করে বাজারের পশ্চিম মাথায় তিন রাস্তার মোড়ে সকলে সমবেত হয়ে মানববন্ধন ও বক্তারা প্রতিবাদী মূলক আলোচনা রাখেন।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন - শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের রায়হানপুর ইউনিয়নের সভাপতি - শিকদার মোহাম্মদ রাজু, কাকচিড়া বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম - হাফেজ মাওঃ শাহ মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ, কাকচিড়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী জামে মসজিদের ইমাম- এইচ এম ইব্রাহীম খলীল, কাকচিড়া বাজার আব্দুল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম - হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান সহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবরা, আরো উপস্থিত ছিলেন - রায়হানপুর ইউনিয়নের মুজাহিদ কমিটির (ছদর) মোঃ শহিদুল ইসলাম, মুফতী মোখলেছুর রহমান সহ রায়হানপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক - মাওঃ শাহ আলম, মাওঃ আবু হানিফ, মাওঃ হাফিজুর রহমান, পাথরঘাটা হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসিস্ট্যান্ট হেড মাস্টার মোঃ শামিম আহসান সহ এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক বৃন্দরা।

মানববন্ধন শেষে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন যে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. শুধু মাত্র ভারত কিংবা বাংলাদেশের জন্য নয়! নবী মুহাম্মদ হলেন গোটা বিশ্ববাসীর জন্য নেয়ামত ও একজন আদর্শবাদী শিক্ষক,, তারা আরো বলেন যে ভারত একের পর এক ইসলামের উপর হামলা, মানহানি ও অশ্লীল ভাষায় কটুক্তি করেই যাচ্ছে, এর প্রতিবাদে আজ আমরা সমবেত হয়েছি ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতা নুপুর শর্মা ও তার সহযোগী এই বারও যে মন্তব্য করেছে তা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দানীয়, ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৬ টি মুসলিম রাস্ট্র ভারতকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন, যদিও তাদের দুই জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিন্ত সেটা আমরা দেখেছি প্রায় এক সপ্তাহ পরে, তাদের বহিষ্কারে আমরা সন্তোষজনক নয় তাদেরকে আমরা ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে আমরা আমাদের আত্নার প্রশান্তি ঘটাতে চাই,, এর পাশাপাশি বিশ্বের ১৬ টি রাস্ট্রের মত বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা রাস্ট্রিয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাচ্ছি।

পত্রিকা একাত্তর /নুর এ আলম