অন্যান্য বাবের ন্যায় এবারেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলায় আজ শনিবার (৯ জুলাই-২০২২) ঈদুল আযহা'র নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায়, বোচাগঞ্জ উপজেলার তেতরা গ্রামে, বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী গ্রামে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল আযহা'র নামাজ আদায় করেছেন।

শনিবার (৯ জুলাই-২০২২) সকাল পৌনে ৮টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আযহা'র নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ দেড় শতাধিক মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর ফ্যামিলি কেয়ার মহিলা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বোচাগঞ্জ উপজেলার তেতরা গ্রামে, বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী গ্রামে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে প্রায় ২০/২২টি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আযহা'র নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়।

পাশাপাশি কুরবানীর সত্যিকারের ত্যাগের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে নিজেদের জীবন পরিচালনার আহবান জানানো হয়ে। পার্টি সেন্টারে ঈদুল আযহা'র নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো।

কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছেছে।

পত্রিকাএকাত্তর /আরমান হোসেন