বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় ভাসছে সারা বিশ্ব। উন্মাদনার শেষ নেই বাংলাদেশেও। শহর, গ্রাম, পথে-ঘাটে শোভা যাচ্ছে প্রিয় দলের পতাকা। তারই অংশ হিসেবে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় আর্জেন্টিনার পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে একটি দোকান।
নীলফামারী জেলার ডোমার পৌরসভার চিকনমাটি মোড়ে অবস্থিত ‘হিমেল হোটেল এন্ড কনফেকশনারি’ নামের দোকানটিতে আর্জেন্টিনার পতাকা বানিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকি দোকানটির মূখ্য প্রান্তের দুই দিকে প্রায় ২২০ ফুট লম্বা পতাকা টানানো হয়েছে।
দোকানের মালিক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ চায়ের দোকান করে আসছিলেন তিনি। দিনদিন ব্যবসার উন্নতিতে এখন দোকানটি বেশ বড়সড় হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক বিশ্বকাপ ও বড় টুর্নামেন্টে এমনভাবেই সাজান তার দোকানকে। এমনকি আর্জেন্টিনার যে-কোন ফুটবল ম্যাচ হলে, নিজস্ব অর্থায়নে বড়পর্দায় কিংবা বড় এলইডি টিভির মাধ্যমে এলাকাবাসীকে খেলা দেখতে সহযোগিতা করেন।
মো. সফিকুল ইসলাম ডোমার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চিকনমাটি গ্রামের বসতপাড়া এলাকার মৃত বিসাদু মামুদের পুত্র। তিনি চায়ের দোকান ও নাস্তার আয়োজন বেচা-কেনার মাধ্যমেই তার জীবিকা নির্বাহ করেন। একসময় ফুটবল খেলার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন সফিকুল। তারা তিন বোন ও এক ভাই। ব্যক্তিগত জীবনে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, আর্জেন্টিনার অন্ধভক্ত তিনি। প্রত্যেক বিশ্বকাপে তার এমন আয়োজনে সবাই মুগ্ধ হন। এছাড়া সবার সাথে মিশুক প্রকৃতির ব্যক্তি তিনি। দূরদেশের খেলোয়াড় কিংবা সেখানকার বাসিন্দারা না জানলেও, তিনি এমন আয়োজনের মাধ্যমে নিজের মনের মাঝে প্রশান্তি পান।
বিশ্বকাপ এলে, তার দোকানে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ভিড় জমে। তারা একসাথে খেলা দেখে। হৈ-হুল্লোড় হলেও কোনোরকম বিরক্তি আসে না স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।
এবিষয়ে ডোমার উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান মুক্তি বলেন, তার শৈশবকাল থেকে আমি তাকে চিনি। সে একসময় দারুণ ফুটবল খেলতো। আমি নিজে ব্রাজিলের একজন সমর্থক হয়েও আর্জেন্টিনার প্রতি তার এমন আবেগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ
আপনার মতামত লিখুন :