বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন,বাংলাদেশে কোন গণতান্ত্রিক সরকার নেই, আছে এক দলীয় সরকার।এ সরকার ক্ষমতায় এসে বিগত ১৪ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়েছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগমন করতে হবে। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আজ জগনগরের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আওয়ামী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কারণে দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি। সবকিছু আজ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
তিনি আজ ২৮ মে , রবিবার, বিকালে, বাকলিয়া এক্সেস রোডে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, গুম, খুন আর দূর্নীতি হচ্ছে আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনীতি। শেয়ার বাজারের টাকা কোথায় গেল। সব টাকা পাচার হয়ে গেছে।গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার, একটি অবৈধ সরকারের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করা, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা আশা করি অচিরেই এই সরকার একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রনয়ণ করবে, যে সরকারের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহন যোগ্য নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ. চাল, ডাল, তেল ও আটাসহ নিত্যপ্রয়োজীনয় দ্রব্য সার ও ডিজেল, কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারনে মানুষ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম বলেন, শান্তির সমাবেশের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে বিএনপি, অঙ্গ ও সহোযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের সমাবেশ অশান্তি মনে জনগণ কোন প্রকার সাড়া দিচ্ছে না। টাকা খরচ করেও তারা সমাবেশে লোক আনতে পারছেনা। অথচ বিএনপি কোন প্রকার অর্থ খরচ না করইে হাজার হাজার লোক নিয়ে সকল কর্মসূচী সফলভাবে পালন করে যাচ্ছে।এই সরকার পতন আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে আছে। এই সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না ।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণ আর এই সরকারকে চায়না। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এখন জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া উঠেছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির একাংশের পদযাত্রা কর্মসূচিতে লক্ষ জনতা রাজপথে নেমে এসেছে। এই জনজোয়ারে শেখ হাসিনা সরকারের মসনদ ভেসে যাবে। দেশের জনগনের চোখে প্রতিবাদের ভাষা ও হৃদয়ে আপনাদের দুঃশাসনের ক্ষত নিয়ে রাজপথে নেমেছে। বিএনপি’র সকল শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে বাধা প্রদান ও আওয়ামী আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা নির্যাতন ও আটক করছে। যতই মামলা, হামলা ও নিপিড়ন, নির্যাতন, আটক করা হউক বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আর পিছু হাটবে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন। অবিলম্বে অবৈধ ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমের বিষয়ে সম্পাদক এম. নাজিমুদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ গরিব মানুষ না খেয়ে আছে, মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে। এই জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার থেকে মুক্তি পেতে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন।
সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন,দেশে এখন নিরব দূর্ভিক্ষ চলছে। নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে কলকারখানা ও সিএনজি গ্যাসের মূল্য আবারও বৃদ্ধি করে সংকট আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে। প্রতিমাসে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। এই অবৈধ সরকার মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়েছে। সে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে নিয়েছে। সুইচ ব্যাংকে অর্থ জমা করেছে তারা। এরফলে দেশে অর্থের তারুল্য সংকট দেখা দিয়েছে
ব্যারিষ্টার মীর হেলাল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেই নির্বাচন করবে না।শান্তির লক্ষ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা। আর লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিএনপি কখনো চুরি-লুটপাটে বিশ্বাস করে না।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত কোনো দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না।আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাকে বাধ্য করা হবে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু,প্রধান বক্তা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম.নাজিমুদ্দিন ,আবুল হাসেম বক্কর,ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন,
আবু সুফিয়ান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, হাবিবুর রহমান, শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, তাতী দলের মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু প্রমূখ।
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম মহানগরী বিএনপির পদযাত্রা শাহ আমানত সংযোগ সড়ক হাইওয়ে এক্সেস রোড থেকে শুরু হয়ে ফুলকলি, রাহাতারপুল, কিলোমিটার, চাঁন্দগাঁও থানা হয়ে বহদ্দারহাটে এসে শেষ হয়।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন