যশোর ডিবি পুলিশের এস আই আরিফের বিরুদ্ধে নড়াইলের চাচড়াঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা কুবাদ আলীর বাড়ি ঘর ভাংচুর চাঁদাদাবী ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।এঘটনায় অভিযুক্ত ওই পরিবার আজ সকাল ১০টায় নড়াইল সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের চাচঁড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকরিমা বেগম।তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার ছেলে রমজান আলী এক জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জন রমজান আলী বিশ্বাস।
সে দীর্ঘ দিন ধরে সেনাবাহিনীতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছে৷ আমার বড় ছেলে পুলিশের এস আই হিসাবে বর্তমানে
কর্র্মরত। আমার স্বামী এক জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।যশোরের এক ডিবি পুলিশ আমার ছেলে রমজানের বিররুদ্ধে টগর নামে এক ছেলের নিকট টাকা নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ এনে দীর্ঘ দিন ধরে হয়রানি করে আসছে।সম্প্রতি সময়ে আমাদের বাড়িতে এসে গভীররাতে বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছে। আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনে বাড়ি আসার কারন ও তালা ভাঙার বিষয় জানতে চাইলে আমাকে কথ্য ভাষায় কথা বলেন।আমি এক জন মুক্তি যোদ্ধার স্ত্রী । আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জন রমজান আলী বিশ্বাস বলেন, আমার নামে কোন মামালা নেই, টকর যদি আমার কাছে টাকা পেয়ে থাকে তাহলে চেক ডিজ অনারের মামলা করুক। আমার বাড়ি নড়াইল। যশোর ডিবি পুলিশের এস আই আরিফ আমার নিকট টাকা দাবি করছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হুমকি দিচ্ছে। বে আইনি আমার বাড়ি এসে বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। আমার মায়ের সাথে মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এটি কোন রকম ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি । ঘন্টা ব্যাপি এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকরিমা বেকম, রজজান আলী, অনন্তরা হাসান সহ মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যশোর ডিবি পুলিশের এস আই আরিফের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনন রিসিভ করেন নাই।এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন,আমরা এ ঘটনার কিছুই জানিনা। তবে নড়াইলের ভীতর অন্য কোন জেলার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করতে চাইলে নড়াইল আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার নিয়ম। এর ব্যপ্তয় ঘটালে আইনি সহায়তা নিতে পারেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকরিমা বেগম ও তিনার পরিবার।
পত্রিকা একাত্তর/হাফিজুল নিলু