লালমনিরহাটে সীমান্ত দিয়ে গরুর সাথে আসছে মাদক


জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট প্রকাশের সময় : ০৯/১১/২০২২, ২:১৩ অপরাহ্ণ / ১৩২
লালমনিরহাটে সীমান্ত দিয়ে গরুর সাথে আসছে মাদক

লালমনিরহাটে আদিতমারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে থেকে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে চড়কি মাধ্যমে প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকার মাদক ও গরু পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে ।এই সকল পাচার হয়ে আসা গরু বৈধ করতে নেওয়া হয় সীমান্তবর্তী হাটবাজারে। বাজারের ইজারাদারের মাধ্যমে গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে রশিদ কেটে বৈধ করে নেন ।

গরু ও মাদক ব্যবসায়ীগণ সীমান্তের বর্ডার গার্ড বিজিবি অবস্থান বুঝে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন নদীর নেমে পড়ে নদীর সাথেই উঁচু স্থানে কাঁটাতারের বেড়া অবস্থিত সেখানে চড়কি বসায় একটি চড়কি সাথে ২০ থেকে ২৫ জন পাচার কারী দল কাজ করে থাকেন। শীতকালীন শুরুতেই বেশিরভাগ গরু ও মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন দুর্গাপুর ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন, উল্লেখযোগ্য নিরাপদ স্থান হিসেবে নির্ধারণ করে নিয়েছে পাচার কারি দল দুলালী বাজারে মহিষ তুলি নৌকা পাড়াপার ঘাট হতে লোহাকুচি পর্যন্ত এইটুকু সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার সাথে ২০/২৫ টি চড়কি বসিয়ে গরু ও মাদক পাচার করে আসছে ।

উক্ত স্থানে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে প্রত্যেক বছরেই বিএসএফের গুলিতে এক থেকে দুজন নিহত হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। শীতের শুরুতে গরু পাচার শুরু হয়েছে এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।গত এক মাস ধরে যে সকল গরু পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে সেই সকল গরু প্রতি থানা পুলিশের জন্য ৫০০ টাকা জেলা ডিবি পুলিশের জন্য আড়াইশত টাকা করে চাঁদা আদায় করছে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়া।

স্থানীয় সচেতন মহল জানায় নিউজে উল্লিখিত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মাদক ও গরু পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে। যে সকল পাচার কারিগণ চড়কি প্রতি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা হচ্ছেন চড়কি নং১ মহিষ তুলি এলাকার জামাল উদ্দিন, বাদশা মিয়া , চড়কি নং ২ মনজু মিয়া, সৈয়দ আলী চড়কি নং৩ ইউনুস আলী, এন্তাজ আলী চড়কি নং৪ সাবেক ইউপি মেম্বার নান্নু মিয়া, চড়কি নং ৫ পানাতি জাহিদুল, মইজুল ,চড়কি নং ৬ জমশের, আনোয়ার হোসেন , চড়কি নং ৭ পূর্ণ, তরুণী ,বিমল, চড়কি নং ৮ ডংকার আমিন, চড়কি নং ৯ ওয়াসকরনি ,আনোয়ার হোসেন, চড়কি নং ১০ ভবেশ চন্দ্র ,জাহিদুল চড়কি ১১ রহমত আলী, বালাটারি এলাকার চড়কি নং ১২ বাবুল মিয়া ,রফিক, চড়কি নং ১৩ মন্টু মিয়া, চড়কি নং ১৪ আবুল কালাম, চড়কি নং ১৫ গেতু মিয়া, আমিনুল ইসলাম, উল্লেখিত গরু পাচারকারী ব্যক্তিগণের নেতৃত্বে প্রায় ৩শ থেকে ৪শত জন পাচার কারী দল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তের কাঁটা তারা বেড়ার উপর দিয়ে চরকি বসে প্রতি রাত্রে গরু সহ মাদক পাচার করে আসছে।

গরু পাচার ও মাদকদ্রব্য পাচারকারী একাধিক ব্যক্তি সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন মাদক পাচার করে না গরু পাচার করে যে রাতে কুয়াশা ও অন্ধকার বেশি সেই রাতে গরু পাচার হয় বেশি তবে বর্ডার গার্ড বিজিপি অবস্থান বুঝে তারা সীমান্তে কাজে নেমে যায়, উক্ত কাজের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার করে পায় । গরু পাচার করার কাজে বিভিন্ন ধাপে তাদের লোক নিয়োগ করা রয়েছে ।

গরু পাচার করেন একটি গ্রুপ বিক্রয় উদ্দেশ্যে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন একটি গ্রুপ। বিক্রয় করে ও রশিদ কেটে বৈধ করে দেয় একটি গ্রুপ এই সকল লেনদেন হয়ে থাকে বেশিরভাগ বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন মহল ও সচেতন ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে জানা যায় উল্লেখিত পাচারকারী দলের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে পারলে তাহলে গরু পাচার ও মাদক পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে।

সীমান্তবর্তী সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধ ব্যক্তিগণ বলেন উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে বিএসএফের গুলি হতে রক্ষা করা সম্ভব হবে। তা না হলে যে কোন মুহূর্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী গরু পাচারকারী মৃত সংবাদ পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই ব্যাপারে থানা পুলিশের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বক্তব্য সম্ভব হয়নি উপরোক্ত বিষয়ে গত দুইদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুসন্ধান করে উপরোক্ত তথ্য পাওয়া গেছে । মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট মোবাইল নং ০১৭১৯৪০২৪৩৫

পত্রিকা একাত্তর / গোলাপ মিয়া