পুকুরের মাছ চুরি করার মামলায় কারাগারে ৫ জন


উপজেলা প্রতিনিধি, রাণীশংকৈল প্রকাশের সময় : ০৬/১১/২০২২, ৫:৩৯ অপরাহ্ণ / ১১৪
পুকুরের মাছ চুরি করার মামলায় কারাগারে ৫ জন

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পুকুরের মাছচুরি, মাছ লুটপাট ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় ৫ জন আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইতে গেলে আদালতের বিচারক রমেশ কুমার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আবু হাসনাত বাবু নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে প্রেরণ করা আসামারীরা হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের ফয়জুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, তরিকুল ইসলাম, নাজিরুল, রুবেল ইসলাম।

মামলার বরাতে বাদীপক্ষের আইনজীবি আবু হাসনাত বাবু বলেন, মামলার বাদী মাছচাষী আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের চড়কডাঙ্গী গ্রামের অবস্থিত তার চাষাবাদকৃত পুকুরের মাছ প্রতিদিনের ন্যায় গত ২১ অক্টোবর রাতেও পাহাড়া দিচ্ছিলেন।

রাত সাড়ে ৩টার সময় ফইজুল সহ তিনজন জাল দিয়ে মাছ চুরি করতে গেলে ফইজুলকে আটক করে রাজ্জাক। অপর দুজন ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে তাকে বালিয়াডাঙ্গী থানায় সোপর্দ করতে গেলে ফইজুল শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় পুলিশের পরামর্শে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান মাছচাষী রাজ্জাক।

পরে ওইদিন সকাল সাড়ে মামলার অন্য আসামীরা হাসপাতালের সামনে মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাকের বাবার মোটরবাইক ছিনতাই ও সকাল সাড়ে ১১টায় ৩০/৩৫ জন লোক সংবদ্ধ হইয়া পুকুরের মাছ জাল দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গত ২৭ অক্টোবর বাদীপক্ষের আমি বাদীপক্ষের হয়ে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় আজ ৫ জন এজাহারভুক্ত আসামী জামিন চাইতে আসলে বিজ্ঞ আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।

মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি পুকুরে মাছ চুরির অপরাধে ফইজুলকে ধরার পর তার চিকিৎসা করেছি। কিন্তু মামলার আসামীরা উল্টো আমিও আমার বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

ওই মামলার পর আমাদের গ্রেফতারের জন্য মানববন্ধন করেছেন। চোর ধরেই আমি আর আমার বাবা অপরাধী হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। ৭ দিন হলো সেই মামলায় জামিনে আছি। আমি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।

পত্রিকা একাত্তর/ আনোয়ার হোসেন