নড়াইলের এক সাংবাদিকের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল মোঃ রবিউল ইসলাম ও নিপা খানম দম্পতিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) এ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম।
পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার সারুলিয়া গ্রামে।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,২০০৭ সালে লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকিকুর রহমান ও পাইকমারী গ্রামের নিপা খানমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। কিন্তু ২০১১ সালে আগের প্রেমের
সম্পর্কের কারণে নিপা খানম সারুলিয়া গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে চলে যায়।
ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নীপা খানম তালাকের নোটিশ পাঠায় তার স্বামীর কাছে। পরে ২৭ অক্টোবর নীপা ও রবিউল বিয়ে করে। পরে দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি আকিকুর রহমান বাদী হয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলাটি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাফিল খবির রাজু বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর পর শুনানি শেষে ইদ্দদকালীন সময় ৩ মাস ১০ দিন পার না করে বিয়ে করায় তালাক বৈধ হয়নি বলে আদালত দন্ডবিধি এর ৪৯৪ ধারায় এ রায় দেন। আদালতের এই রায়ে সমাজে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো। অবৈধ তালাকের মাধ্যমে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করা যে অপরাধ সেটা প্রমাণিত হলো।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু
আপনার মতামত লিখুন :