দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান, সুন্দরী এবং প্রতিভাবান অভিনেত্রী নয়নতারা। কয়েক বছর ধরে গল্পনির্ভর সিনেমা করে আলোচনায়। এখন ভক্ত ও দর্শক তাকে ‘লেডি সুপারস্টার’ বলে ডাকেন।
২০০৩ সালে মালয়ালাম ‘মানসসিনাক্কার’র মাধ্যমে ১৯ বছরে সিনে পর্দায় পা রাখেন নয়নতারা। ২০১৮ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের সেলিব্রেটি ১০০ তালিকায় একমাত্র দক্ষিণী অভিনেত্রী হিসেবে ছিলেন তিনি।
আজ এই অভিনেত্রী ৩৯ তম জন্মদিন নয়নতারার ১৮ নভেম্বর ১৯৮৪ সলে বেঙ্গালুরুতে একটি মালয়ালি খ্রিস্টান পরিবারে। তার বাবা এয়ার ফোর্সে অফিসার ছিলেন যার কারণে তিনি দেশের অনেক জায়গায় সময় কাটিয়েছিলেন।
নয়নতারা তার স্কুল পড়াশোনা চেন্নাই, দিল্লি, জামানগর এবং গুজরাতে শেষ করেছেন। নয়নতারা কলেজের দিনগুলিতে মডেলিংও করেন। ২০১১ সালের ৭ই আগস্ট, তিনি চেন্নাইয়ের আর্য সমাজ মন্দিরে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন ।
তিনি তামিল এবং তেলুগু ছবিতে কাজ করার পূর্বে সুপার হিট মালয়ালম ছবি নাত্থুরাজাভুতে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি তামিল চলচ্চিত্রে ২০০৫ সালে অভ্যএবং ২০০৬ সালে লক্সমি ছবি দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং ছবি দুটিতে সাফল্য পান।
পরে ব্যবসায়িক সাফল্যমন্ডিত একাধিক ছবি যেমন চন্দ্রমুখী (২০০৫), দুবাই সেনু (২০০৭), তুলসী (২০০৭), বিল্লা (২০০৭), ইয়ারাদি নি মোহিনী (২০০৮), আদ্ভান (২০০৯), আধূরস্ (২০১০), সিংহ (২০১০), বস এনজিরা ভাস্করন (২০১০), শ্রী রামা রাজ্যম (২০১১), রাজা রাণী (২০১৩), আরম্ভাম (২০১৩), থানি অরুভান (২০১৫), মায়া (২০১৫), নানুম রৌডি ধান (২০১৫), বাবু বঙ্গরাম (২০১৬), এবং ইরু মুগান (২০১৬) ছবিগুলোতে তিনি চরিত্র প্রধান হিসেবে অবদান রাখেন, যেগুলো পরে তাকে দক্ষিণাত্যের ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনুষ্কা শেট্টির পরে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
আজ এই অভিনেত্রী জন্মদিনে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ
আপনার মতামত লিখুন :