বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি বর্মা অভিনয়ে আসার আগে তিনি আয়কর বিভাগেই সরকারি চাকরি করতেন। সম্প্রতি ২৬৪ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইডির নজরে এলেন কৃতী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের লগইনের অধিকারের অপব্যবহার করে একজন সিনিয়র ইনকাম-ট্যাক্স আধিকারিকের ২৬৪ কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছেন। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ভূষণ পাটিল।
জানা যায়, তাঁর সঙ্গেই দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন কৃতী। ২৬৪ কোটি জালিয়াতির টাকার অধিকাংশই পাটিলের অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। যা দিয়ে পাটিল বেশকিছু সম্পত্তি নিজের নামে কিনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কৃতি বর্মার নামে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহুবার ইডির জেরার মুখে পড়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী।
কৃতী ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, ২০২০ সালে পানভেলে এক ডান্সিং শো চলাকালীন ভূষণ পাটিলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এরপর মাস ছয়েক সম্পর্কে ছিল তাঁদের, পাটিলের অপরাধমূলক রকমফের দেখেই তিনি সম্পর্ক ছেদ করেন। পাটিলের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তিনি একটি ডান্স শো-এর পারিশ্রমিক হিসেবে ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু এই আর্থিক তছরুপের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই
ইডি সূত্রে খবর, এই কেলেঙ্কারির মূল কাণ্ডারি তানাজি মণ্ডল অধিকারি। যিনি সিনিয়র ট্যাক্স অ্যাসিসটেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। তিনিই সিনিয়র আধিকারকিদের বিশ্বাস জিতে তাঁদের লগইনের যাবতীয় তথ্য চুরি করে, পরে টিডিএস রিফান্ডের ২৬৪ কোটি টাকা বেআইনিভাবে পাটিলের এক কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন।
প্রায় ১২ বারে তিনি এই বিরাট অঙ্কের টাকা সরকারি অ্যাকাউন্ট টাকা গায়েব করে দেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আইটি ইন্সপেক্টরের পদে প্রমোশন পান। তবে এই দুর্নীতি ফাঁস হতে বেশি সময় লাগেনি।
পাটিলের ব্যাঙ্কের তরফ থেকেই সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে এত কোটি টাকার ট্রান্সফার দেখে রেড ফ্ল্যাগ জারি হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পাটিল, তানাজি-সহ একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। তবে সেখানে নাম ছিলনা কৃতির।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ