ব্যাচেলর পয়েন্ট’র হাবু ভাই এখন আর ব্যাচেলর নেই। গেল শুক্রবার রাতে ঘরোয়া আয়োজনে হাবু’খ্যাত অভিনেতা চাষী আলমের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের রিসেপশনের আয়োজন করেননি এই অভিনেতা। বেঁচে যাওয়া সেই টাকা দিয়ে এতিমদের খাওয়াবেন চাষী আলম।
তিনি জানান, রিসেপশনে যে টাকা খরচ হতো, সেই টাকা তিনি এতিমখানায় দান করতে চান।
এই অভিনেতা বলেন, আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী। অনেক বন্ধুবান্ধব। তুলতুলের পরিবারেও অনেক মানুষ। আমি বড় করে অনুষ্ঠান করতে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে বা মনের অজান্তেই অনেকে হয়তো বাদ পড়তে পারেন। এই কারণে সেটা চাচ্ছি না।
আমার রিসিপশনে যে টাকাটা খরচ হত সেটা আমি এতিমখানায় দিয়ে দেব। এখানে আমার বন্ধু-বান্ধবরা যদি মন খারাপ করে তাহলে কিছু করার নাই। তবে এতিমদের জন্য একবেলা খাবারের আয়োজন করে নয়, হাবু ভাই চান অন্তত তিন দিনের খাবার খরচ যেন তিনি প্রদান করতে পারেন।
তার কথায়, ‘আমি একবেলা খাওয়াতে রাজি না। খাওয়ালে ভালোভাবে খাওয়াবো। একটা এতিমখানায় তিন দিনের যে খরচ হয় সেটা দিয়ে দেব। এমন চার-পাঁচটা এতিমখানায় খাওয়াব। এ ছাড়া সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে দেব- যাতে তারা সেগুলো অনেকদিন ব্যবহার করতে পারে।’
হাবু ভাই জানান, ইতোমধ্যেই একটা এতিমখানার খোঁজ পেয়েছি। যেটি সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত। এতিমখানাটি মেয়েদের। সচারচর আমাদের আশেপাশে নারীদের এতিমখানা দেখা যায় না। তো আমার ইচ্ছা, সেখানেই করার।
স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে খুশি তার স্ত্রী তুলতুল। তিনি বলেন, ও (চাষী আলম) আমাকে বলেছে, আমি এটা করতে চাই। তখন আমি বলেছি, আলহামদুলিল্লাহ। এটা অবশ্যই ভাল কাজ। তুমি এটা করো।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ