হালের মিউজিক কুইন দিলশাদ নাহার কনা। প্লেব্যাক, অ্যালবাম দু’জায়গাতেই অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। আর তার প্রতিদিনই কাটে গান ও জিঙ্গেল রেকর্ডিং, স্টেজ শো নিয়ে। আজ এই তারকা শিল্পীর জন্মদিন। বিশেষ দিনটিতে ভক্ত ও সহশিল্পীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। জন্মদিনে কনাকে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে জন্মদিনে দোয়া চেয়ে কনা বলেছেন, মানুষ যেভাবে আমাকে ভালোবাসে এই ভালোবাসা আজীবন বজায় থাকুক। এটাই আমি চাই। সবার কাছে দোয়া চাই। সবার ভালোবাসা নিয়ে আরও ভালো গান উপহার দিতে চাই।
সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ১৫ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশবকাল কাটে তার মা-বাবা এক ভাই এবং এক বোনের সাথে।কনার ভালো নাম দিলশাদ নাহার কণা হলেও পারিবারিক পরিমণ্ডলে তিনি আরও দুটি নামে পরিচিত। বাবা-মায়ের কাছে কনা নামটি কনুতে রূপান্তরিত হলেও বাচ্চাদের কাছে তার নামটি আরও মজার—‘কনামনা’। মিরপুরের টাইনি টটস স্কুলে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই কনার স্কুলজীবনের হাতেখড়ি। তিনি ঢাকার মগবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালমাটিয়া কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
মাত্র চার বছর বয়সেই গানের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে তার। ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’ গানটি শেখার মধ্য দিয়েই কনার গানের ভুবনে পা রাখা। আনুষ্ঠানিকভাবে তার কণ্ঠে গাওয়া প্রথম গানটি ছিল ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’। জীবনের প্রথম কোনো গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ শিল্পী দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, আর তাও মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। কনা তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন ২০০০ সালে। কনার প্রথম এলবাম ‘জ্যামিতিক ভালবাসা’, যা বের হয় ২০০৬ সালে। তার দ্বিতীয় একক এলবাম ফুয়াদ ফিচারিং কনা বের হয় ২০০৮ সালে “কনা” নামে। তার তৃতীয় একক এলবাম “সিম্পলি কনা” বের হয় ১৮ আগস্ট ২০১১ তে। তিনি বসগিরি (২০১৬) চলচ্চিত্রের “দিল দিল দিল”, পোড়ামন ২ (২০১৮) চলচ্চিত্রের “ওহে শ্যাম”, এবং বিশ্বসুন্দরী (২০১৯) চলচ্চিত্রের “তুই কি আমার হবি রে” গানের জন্য তিনবার সেরা গায়িকা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ
আপনার মতামত লিখুন :