আজ চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীরের জন্মদিন। ১৯৫০ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর অন্যতম প্রযোজক। আলমগীরের জন্মদিনে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে রইল শুভেচ্ছা।
ছোটবেলায় বেশ বড় পরিসরেই আলমগীরের জন্মদিন পালন করতেন তার বাবা-মা। এখন পরিবারের সঙ্গে ঘরোয়া আয়োজনে কাটান এই দিনটি। বছরের অন্যান্য দিনের মতোই আলমগীর তার জন্মদিনও স্বাভাবিকভাবেই কাটানোর চেষ্টা করেন।
আলমগীর বলেন, বয়স বেড়েই চলেছে। ইদানীং আর সেভাবে জন্মদিন পালন করা হয় না। ভালোবেসে এই দিনে অনেকেই ফোন করেন, শুভেচ্ছা জানান, দোয়া করেন- এটাই এখন উপভোগ করি।
আলমগীরের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে আমার জন্মভূমি দিয়ে। জিঞ্জীর (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে রাজ্জাক ও সোহেল রানার সাথে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে নিষ্পাপ চলচ্চিত্র দিয়ে তার পরিচালনায় অভিষেক হয়। ১৯৮৫ সালে নিষ্পাপ চলচ্চিত্র দিয়ে তার পরিচালনায় অভিষেক হয়। মা ও ছেলে (১৯৮৫) ছবিতে দীপক চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরবর্তীতে অপেক্ষা (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), মরণের পরে (১৯৯০), পিতা মাতা সন্তান (১৯৯১), অন্ধ বিশ্বাস (১৯৯২), দেশপ্রেমিক (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে আরও ছয়টি জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নির্মাণ করেন নির্মম। ২০১০-এর দশকে তিনি জীবন মরণের সাথী (২০১০) ও কে আপন কে পর (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য টানা দুবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে তার পরিচালিত তৃতীয় চলচ্চিত্র একটি সিনেমার গল্প মুক্তি পায়।
আলমগীরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন গীতিকার খোশনুর আলমগীর। তাকে বিয়ে করেন ১৯৭৩ সালে। গায়িকা আঁখি আলমগীর তাদের কন্যা। খোশনুরের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলমগীর ১৯৯৯ সালে গায়িকা রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ
আপনার মতামত লিখুন :