ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছায়াছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন।ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’র মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শাসন করেছেন এই নায়িকা। উপহার দিয়েছেন বহু ব্যবসা সফল ছবি।
সম্প্রতি জীবনের বেশ কয়েকটি ইচ্ছার কথার জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এর মধ্যে হজে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী। সেই তালিকায় আছে- মারা যাওয়ার পর তার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়, দশর্কদের কাছে থাকা ছবি ডিলিট করাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ‘১৩টি প্রশ্ন’ শিরোনামের আয়োজনে এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় প্রশ্ন রাখেন- ক্যামেরার সামনে শেষ কথা হলে সেটি কী বলতে চান?
এমন প্রশ্নে মৌসুমী বলেছেন, প্রথমত আমি বলব- আমি যদি মরে যাই, আমার সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাই সবার কাছে। ক্ষমা করে দেবেন। আমার কয়েকটি ইচ্ছা আছে, একটি হলো- আমি মারা যাবার পর আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়। যেন খুব সিক্রেটলি কবর দেওয়া হয়। জানাজা হবে। কিন্তু আমি চাই না আমাকে আর কেউ দেখুক।
মৃত্যুর আগে হজে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, আমি মারা যাবার আগে বড় হজ করতে চাই। আমি যেন হজ করতে পারি, সে জন্য সবাই দোয়া করবেন।
ওই প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমী আরো বলেন, আমি মারা যাবার পর টিভিতে ধুমধাড়াক্কা ছবি এবং দশর্কদের কাছে অনেক ছবি রয়ে গেছে, সেগুলো ডিলিট করে দিবেন। তবে ছবি যদি সংগ্রহ করতে হয়, তা হলে মৌসুমী আর্কাইভে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সেখানে সবাই আমার সব কিছু জমা দিয়ে দিবেন। যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমার কোনো কাজ মনে হয় আর্কাইভে রাখলে ভালো হবে বা গবেষণার কাজে আসবে, তবে সে উদ্দেশ্যই ছবিগুলো সংরক্ষণ হবে। অবশ্যই বাছাইকৃত ছবিগুলো জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্য সব কিছু ডিলিট করে দিলে ভালো হবে।
তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া আমার কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন আমার কিছু সাংগঠনিকভাবে মৌসুমী ওয়েলফেয়ারের মাধ্যমে যেসব কাজ করার উদ্দেশ্য রয়েছে, আমার সব ভক্তকে অনুরোধ করব, এটাকে সবসময় সচল রাখার জন্য।
মৌসুমী ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট তারিখে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুখী ও স্টাইলিশ তারকা দম্পতি বলা হয় তাদের।দাম্পত্য জীবনে তাদের ফারদিন এহসান স্বাধীন (ছেলে) এবং ফাইজা (মেয়ে) নামের ২টি সন্তান রয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ
আপনার মতামত লিখুন :