হিন্দি সিনেমার অন্যতম সফল অভিনেতা সালমান খান। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপটের সঙ্গে বড় পর্দা কাঁপাচ্ছেন তিনি। ১৯৮৮ সালে রেখা আর ফারুক শেখ অভিনীত ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সালমান খানের। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমা নিয়ে হাজির হন তিনি।
সালমান খান গতবছর জুনের পর শনিবার ফের হুমকি পেয়েছেন। এই হুমকির পর রাতারাতি বাড়ানো হয়েছে তার নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। শুধু সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীই নয়, এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাই পুলিশও। এই ঘটনার পরই চব্বিশ ঘণ্টা সালমানের নিরাপত্তায় দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর এবং ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি তার বান্দ্রার বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ভক্তদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। এই ঘটনার আগেই ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা পেয়েছেন অভিনেতা। এছাড়াও যাতায়াতের ক্ষেত্রে সব সময় বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করেন। গোটা নিরাপত্তার দেখভাল করছেন অভিনেতার দীর্ঘদিনের সহযোগী দেহরক্ষী শেরা।
শনিবার হুমকি দিয়ে একটি ই-মেইল আসে সালমানের ম্যানেজারের কাছে। মুম্বাই পুলিশ সূত্রের খবর, সেই মেইলটি পাঠিয়েছে কানাডা প্রবাসী ডন গোল্ডি ব্রারের এক সহযোগী। মেইলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে তিহাড় জেল থেকে দেওয়া গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকির কথাও।
মেইলে বলা হয়েছে, সালমান খানের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চায় গোল্ডি। ওই হুমকি মেইলটি করা হয়েছে মোহিত গর্গ নামে একজনের মেইল থেকে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘গোল্ডি ভাই কথা বলতে চায় তোর বস সালমানের সঙ্গে। কিছু হিসাব চোকাতে হবে। সময় আছে। খবর দিয়ে দিলাম। পরের বার ঝটকা লাগবে। ওই মেইলের কথা জানতেই লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার ও মোহিত গর্গ নামে অন্য এক মাফিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ